পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এক বছরের কমিটিতে পাঁচ বছর পার করল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত ১৮টি হল শাখা ছাত্রলীগ। সর্বশেষ ২০১৬ সালের নভেম্বরে সম্মেলন ও ডিসেম্বরে গঠন করা হয় ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার হল কমিটি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যার মেয়াদ শেষ হয় ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বদিচ্ছার অভাবে পাঁচ বছর পার হলেও হচ্ছে না হল কমিটি। এতে হল ছাত্রলীগে দেখা দিয়েছে বিভেদ। পদপ্রত্যাশীদের উপর ভর করছে হতাশা। কমিটির জন্য মুখিয়ে আছেন নেতাকর্মীরা। এদিকে বারং বার হল কমিটির আশ্বাস দিয়েও কথা রাখছেন না ঢাবি শাখা ছাত্রলীগ। সর্বশেষ করোনা পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালের নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর দুই দফায় কমিটি গঠনের জন্য হল সম্মেলনের তারিখ ঠিক করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা পরিণতি পায়নি। অতঃপর বলা হলো, আগামী জানুয়ারিতে হল সম্মেলন হবে। কিন্তু জানুয়ারিতে এসেও হল সম্মেলন নিয়ে কোন কথা তুলছেন না নেতারা। ফলে সম্মেলন নিয়ে আবার ও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। নেতা-কর্মীদের ভাষ্য অনুযায়ী, এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদ ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার চার শীর্ষ নেতার ‘প্রটোকল ও পদ হারানোর ভয়’। এদিকে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগ নেতারা দাবি করছেন, কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক না চাইলে হল কমিটি দেওয়া সম্ভব না। যদিও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কমিটি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির এমন দোটানায় পড়ে চলতি জানুয়ারির মধ্যে হল কমিটি না দিলে ধর্মঘট করে কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ঢাবি ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের পদপ্রত্যাশীরা। গত ১২ জানুয়ারি রাত ১২টার দিকে মগবাজার ইস্কাটন রোডে লেখকের বাসার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিভিন্ন হলের পদপ্রত্যাশীরা। পরে জয়-লেখক তাঁদের টিএসসিতে এসে কথা বলে সমাধানের আশ্বাস দেন। প্রায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই দুই নেতার সঙ্গে বাগ্বিতন্ডা শেষে জানুয়ারির মধ্যেই হল কমিটি ঘোষণার আল্টিমেটাম দেন পদপ্রত্যাশীরা। প্রয়োজনে সম্মেলন ছাড়াই কমিটি ঘোষণার প্রস্তাব করেন তাঁরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক পদপ্রত্যাশী বলেন, আমরা কত বছর তাঁদের প্রটোকল দেব? আমাদের পরিবার আছে। সবাই তো নেতা হতে পারবে না। আমাদের ক্যারিয়ার নষ্ট করলে জয়-লেখকের পরিণাম ভালো হবে না।
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের এক পদপ্রত্যাশী বলেন, আমরা নিজেদের পরিবারে মুখ দেখাতে পারি না। পড়াশোনা শেষ। কিন্তু আশ্বাসে আর কত দিন? এ আশ্বাসে আর পারছি না। জানুয়ারির মধ্যে কমিটি না দিলে জয়-লেখককে ক্যাম্পাসে আসতে দেওয়া হবে না।
জয়-লেখকের অসহযোগিতামূল আচরণের ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের এক ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, ঢাবি শাখার হল কমিটি হয়ে গেলে কেন্দ্রীয় কমিটিও ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই হল সম্মেলনে অনিহা প্রকাশ করছেন জয়,লেখক।
এদিকে হল কমিটি নিয়ে জয়-লেখকের অসহযোগিতায় বেশ কয়েক মাস ধরে হতাশাজনক লেখা দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। সর্বশেষ এক ফেসবুক কমেন্টে সনজিত লেখেন, এ মাসে হল কমিটি না দিলে তিনি নিজেও আন্দোলনে নামবেন।
ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা চেষ্টা করতেছি এ মাসের মধ্যেই সবকিছুর সমন্বয় করে হল কমিটি দেওয়ার। কেন্দ্রীয় নেতারাও আমাদের এ ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে একাধিকবার ফোন করলেও তাঁরা ফোন রিসিভ করেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।