বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পর্যটন শিল্পে আবারও নেমে আসছে বিপর্যয়। ইতিপূর্বে করোনাকালীন সময়ে দেশের পর্যটন শিল্প বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। এতে কক্সবাজারের পর্যটন এলাকা সহ দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে অবস্থিত পর্যটন কেন্দ্রীক ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এতে পর্যটন শিল্পে হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এবারও করোনার তৃতীয়ত ঢেউতে সরকার বিদিনিষেধ আরোপ করায় পর্যটন শিল্পে বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
করোনায় যেন আবারো থেমে গেল কক্সবাজারে পর্যটক আসার স্রোত।
কক্সবাজারের হোটেল মোটেল জোনে খবর নিয়ে জানা গেছে করোনা বিধিনিষেধ ঘোষনার পরে ইতিমধ্যেই হোটেল মোটেলে কমে গেছে ৫০ভাগ বুকিং।
গত ২ বছরে পর্যটন মৌসুমে করোনার থাবায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পর্যটন শিল্পে। ওই সময়ে কক্সবাজারের শত শত হোটেল-মোটেল ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে। গত বছরের শেষের দিকে করোনা লকডাউন উঠে গেলে স্বাভাবিক হতে শুরু করে পর্যটন ব্যবসা। ইতিমধ্যে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা তাদের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওটার ব্যাপারে আশাবাদীও হয়েছিল। কিন্তু এখন ভর পর্যটন মৌসুমে আবারও করোনা বিধি নিষেধ পর্যটন শিল্পে নতুন করে ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট পর্যটন উদ্যোক্তা আলহাজ্ব আবুল কাশেম সিকদার বলেন, গেল বছরের শেষের দিকে করোনা লকডাউন প্রত্যাহার হলে চাঙ্গা হয়ে ওঠে পর্যটন শিল্প। ইতিমধ্যে বেশ ভালই পর্যটক আসছিলেন কক্সবাজারে। কিন্তু হঠাৎ করে আবারো করোনা বিধিনিষেধে থমকে গেছে সেই পর্যটক স্রোত। ইতিমধ্যেই কমে গেছে হোটেল-মোটেলে বুকিং। তিনি আরো বলেন, আমরা আশংকা করছি করোনা বিধি নিষেধ পর্যটন শিল্পে অশনি সংকেত হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে আবুল কাশেম সিকদার বলেন, সরকারের দেয়া বিধি নিষেধ প্রতিপালন করে তারা পর্যটক সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি বিধিনিষেধ প্রতিপালন করে পর্যটকদের কক্সবাজার ভ্রমণর আহ্বান জানান।
গত বৃহস্পতিবার শুক্রবারেও যেখানে কক্সবাজার সৈকতে ছিল লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখর। সেখানে যেন হঠাৎ করেই বাজ পড়েছে। কমে গেছে পর্যটকদের সেই পদচারণা। পাশাপাশি কমে গেছে হোটেল মোটেলে বুকিং এবং পর্যটকদের বাঁধভাঙ্গা স্রোত।
এদিকে অভিজ্ঞ মহলের মতে দেশের অন্যান্য খাতের মত বিধিনিষেধ প্রতি পালনের মাধ্যমে পর্যটন শিল্পও চাঙ্গা রাখা যেতে পারে। নতুবা আবারো বিপর্যয় নেমে আসবে দেশের পর্যটন শিল্পে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।