Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইসিইউ’তে ভর্তি সব রোগীই ‘টিকাবিহীন’, জানালেন চিকিৎসক

বুস্টার টিকা নিলে ৬৫ বছর, তদূর্ধ্বদের হাসপাতালে যেতে হচ্ছে না

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

একজন শীর্ষ চিকিৎসক প্রকাশ করেছেন যে, তার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে ভর্তি (আইসিইউ) কোনো করোনা রোগীই টিকা গ্রহণ করেননি। তিনি যোগ করেছেন, যারা মারা গেছেন তাদের কারোরই কোন উল্লেখযোগ্য অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল না।

দ্য গ্রেঞ্জ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের একজন নিবিড় পরিচর্যা চিকিৎসক ডক্টর ডেভিড হেপবার্ন আরো বলেছেন, এই সপ্তাহে ‘বেশ কিছু’ রোগী ভাইরাসে মারা গেছেন। তার এই মন্তব্যটি এসেছে যখন ব্রিটেনজুড়ে করোনা সংক্রমণ আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি ওয়েলস রাজ্যে কিছু ক্ষেত্রে প্রতি লাখে ২ হাজার মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন।

ডক্টর হেপবার্ন টুইটারে লিখেছেন, নিবিড় পরিচর্যায় কর্মীদের জন্য সব তুলনামূলকভাবে মসৃণভাবে চলছিল, যেখানে কোভিড সংখ্যা স্থিতিশীল ছিল, হাসপাতালের অন্যান্য অংশের জন্যও একই কথা বলা যায় না। তিনি লিখেছেন, ‘আইটিইউতে সমস্ত কোভিড রোগী বর্তমানে টিকাবিহীন এবং এই সপ্তাহে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘তাদের কারোরই উল্লেখযোগ্য রোগ ছিল না এবং অনেকেরই আরো অন্তত ৩০ বছর বেঁচে থাকার আশা ছিল।’

হেপবার্ন জানান, ‘কয়েক মাসের তুলনায় এখন আমাদের ইউনিটে কম কোভিড কেস রয়েছে - এটি স্থানীয়ভাবে টিকা প্রদানে জোর দেয়ার কারণে হতে পারে। এ কারণেই আমরা এখনও ওমিক্রনের শীর্ষে পৌঁছাতে পারিনি।’ এদিকে, কোভিডের বুস্টার টিকাগুলো খুবই কার্যকর হচ্ছে প্রবীণদের ক্ষেত্রে। ওমিক্রনে সংক্রমিত হলেও ৬৫ বছর বয়সি বা তদূর্ধ্বদের বুস্টার টিকা নেয়া থাকলে কোভিড আর ভয়াবহ হয়ে উঠছে না। এমনকি আর হাসপাতালেও তাদের ভর্তি হতে হচ্ছে না। বুস্টার টিকাগুলো কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার ৯০ শতাংশ কমাতে পেরেছে ওমিক্রন সংক্রমণের ক্ষেত্রে। ব্রিটেনে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এ খবর দিয়েছে।

গবেষণার ফলাফল এ-ও জানিয়েছে, কোভিড টিকাগুলোর দু’টি পর্ব নেওয়ার পরেও যদি ৬৫ বছর বয়সি ও তদূর্ধ্বরা ওমিক্রনে সংক্রমিত হন, তাহলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার তিন মাস পর কমে ৭০ শতাংশ হচ্ছে। আর ৬ মাস পর সেই হার কমে গিয়ে হচ্ছে ৫০ শতাংশ। তবে তার পরেও যারা বুস্টার টিকা নিয়েছেন সেই প্রবীণরা ফের ওমিক্রনে সংক্রমিত হলে বুস্টার নেওয়ার তিন মাসের মধ্যেই তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পাচ্ছে। গবেষণার এই ফলাফল দেখে ব্রিটেনের ‘জয়েন্ট কমিটি অন ভ্যাকসিনেশন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন’-এর চেয়ার অধ্যাপক ভাই শেন লিম বলেছেন, ‘গবেষণার এই ফলাফল আমাদের যথেষ্টই উৎসাহিত করেছে। বুস্টার টিকা নেয়ার প্রয়োজনের সপক্ষে যুক্তিকে আরও মজবুত করে তুলেছে।’

গবেষণার এ ফলাফলের পর এখনই দ্বিতীয় পর্বের বুস্টার টিকা চালুর প্রয়োজন আছে বলেও মনে করছে না ব্রিটেনের জয়েন্ট কমিটি অন ভ্যাকসিনেশন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন। করোনাভাইরাসের নতুন নতুন রূপের সংক্রমণের মোকাবিলা করার জন্য আগামী দিনে দু’টি পর্বের বুস্টার টিকা নেয়ার প্রয়োজন হবে কি না, পরে তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও কমিটির তরফে জানানো হয়েছে। আপাতত একটি পর্বের বুস্টার টিকাই ব্রিটেনে সব বয়সিদের অবিলম্বে দেওয়ানোর কথা ভাবা হয়েছে। সূত্র : হেলথ লাইন, লাইভ মিন্ট, ইউকে মিরর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ