Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রশ্ন: জানেন কি এটা আপনার স্রষ্টার বিধান?

| প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

উত্তর : স্রষ্টার স্রষ্টি এই ধরাধামে একমাত্র তাঁর নিয়মাবলি দ্বারাই পৃথিবী সুস্থ অক্সিজেন খুঁজে পাবে, ভীন্ন কোন পথ ও মত অবলম্বন করলে দুষিত অক্সিজেন গ্রহন করে সে ধীরে ধীরে মৃত্যু মুখে পতিত হবে। যুলুম, অত্যাচার ও অন্যায় অবিচার ভোগ করে করে পৃথিবী আজ মুমুর্ষু হয়ে পড়েছে। কারণ তার মাঝে নীতি নৈতিকতা ও শালীনতা দুর হয়ে গেছে। আজ বড় লজ্জা লাগে! বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মিরা যৌনহয়রানির মত নির্লজ্জ অপকর্মে জড়িত। এ খবর পৃথিবীর সকল বিবেকবান ও সুস্থ্য মস্তিষ্ক ব্যক্তির অন্তরে ঘৃণা সৃষ্টি করেছে। যারা এ ধরনিকে শান্তি ও সুশৃঙ্খল সমাজ উপহার দেয়ার মহৎ কাজ আপন কাঁধে তুলে নিয়েছে তারাই আজ অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে পৃথিবীর রেল লাইনকে নরক মুখি করে দিচ্ছে। গত মাসে আমাদের এই দেশে ১৮৭ জন নারী ধর্ষিতা হওয়ার খবর আমাদের কর্ণ শ্রবন করেছে, এমনকি নারী পুলিশরাও এ অপকর্মে জড়িত। যারা নারী আইন শৃঙ্খলার মহৎ দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে বিশৃঙ্খলার রাজত্ব গড়ে তুলেছে, ছিঁ, ছিঁ তাদের এ কথা শুনে যমিনে থুথু ফেলতেও লজ্জা করছে। এই অপকর্মের প্রতিক্রিয়া ও বিষক্রিয়া ধর্ষক যেমন ভোগ করবে ঠিক তেমনি ধর্ষিতাও ভোগ করবে। তাদের উদর চুষে যে সব সন্তান ভূপৃষ্ঠে আগমন করবে তারাও ধর্ষক ও ধর্ষিতা হিসেবে পরিগনিত হবে। এতে কোন সন্দেহ নেই! জমিনে যে ভাবে নগ্নতা ও বেহায়াপানার বিস্তার লাভ হচ্ছে এতে মনে হচ্ছে, আগামী প্রজন্মের পৃষ্ঠ দেশে অশান্তির এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ড লাগার সময় ঘনিয়ে এসেছে। এতে সমাজের নীতি-নৈতিকতা ও শালিনতা পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে। পৃথিবীর কোন শক্তি সে আগুনকে নির্ভাপিত করার ক্ষমতা রাখেনা, একমাত্র স্রষ্টার সেই অমর বিধানই পারে তা নির্ভাপিত করতে, অশান্তির সে জালকে তছনছ করে দিতে। মহান স্রষ্টার বিধানই পারে সমাজে শান্তির ফোয়ারা প্রশ্রবন করতে। পারে প্রশান্তির হাওয়া জারি করতে। স্রষ্টার সে বিধানটি হলো, বিবাহের পূর্বে কোন নারী পুরুষ যদি অবৈধ মেলামেশা জড়িত হয় তাহলে তাদেরকে ১০০ শত বেত্রাঘাত করতে হবে। আর যদি বিবাহের পর কোন নারী পুরুষ এ অপকর্মে লিপ্ত হয় তাহলে তাদের উপর রজম তথা সর্বোচ্য শাস্তি মৃত্যু দন্ড দিতে হবে। স্রষ্টার এ বিধানকে যদি কেউ মানবাধিকার লঙ্গন বলে আখ্যায়িত করে। তাহলে সে সৃষ্ট হয়ে স্রষ্টার চেয়ে বেশি দয়াদ্র হওয়ার দূঃসাহস দেখাচ্ছে। সুতরাং সে যেই হোক সে মুসলিম নয় মুনাফিক, আস্তিক নয় সে নাস্তিক। গোটা সৃষ্টি আজ মলিন মুখে চাতক পাখির ন্যায় এমন এক সুহস্তের দিকে তাকিয়ে আছে, যে হস্ত স্রষ্টার সে বিধানকে লিপিবদ্ধ করবে সংবিধানের পাতায়। জাতে মানব জাতি ফিরে আসতে পারে উন্নত নীতি নৈতিকতার ছায়ায়।

উত্তর দিচ্ছেন : মোঃ মাসউদুর রহমান। মোতা’আল্লিম- জামিয়া আরাবিয়া মিছবাহুল উলূম কেন্দ্রীয় পৌর গোরস্থান মাদরাসা, মুক্তাগাছা ময়মনসিংহ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্রষ্টার বিধান
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ