Inqilab Logo

রোববার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নেতাকর্মীদের কাফনের কাপড় পরে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন, সিলেট বিএনপির সমাবেশে টুকু

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:২৪ পিএম

বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ করেছি মরিনি আজ যদি গনতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য গুলি খেয়ে মরতে হয় মরবো। বিএনপি নেতাকর্মীদের কাফনের কাপড় পরে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়ে বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী টুকু আরোও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দমন-পীড়ন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারতেন, তিনি তা করেননি। তিনি অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাথে আপোস করেননি, অবৈধ বর্তমান সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতির কারনে আজ কারাগারে বন্দী। এম ইলিয়াস আলীর মুক্তি দাবি করে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, এম ইলিয়াস আলী আজ গুম করে রাখা হয়েছে, তাকে ফেরত দিন। এছাড়া তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের ইতিহাস পাল্টাইয়া ফেলছে। আজকে ইতিহাসে একটামাত্র পাতা আছে, যে ওরা ছাড়া স্বাধীনতাযুদ্ধে আর কেউ যায় নাই। তবে বাকীরা গিয়ে কী করেছে। মূলত: এ দেশের খেঁটে খাওয়া মানুষ, লুঙ্গি পরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। প্রধান অতিথির বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য টুকু বলেন, খালেদা জিয়া মানুষের কথা বলেন এই জন্যই তাকে জেলে রেখে স্লো পয়জনিং করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তাই রাজপথকে প্রকম্পিত করে মুক্ত করতে হবে আমাদের নেত্রীকে। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ প্রদানের দাবিতে গতকাল (বুধবার) সিলেট বিএনপি আয়োজিত অনুষ্টিত এ সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন তিনি। শহরতলির টুকেরবাজারে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্বে করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে বলেন, মন্ত্রী, এমপিরা আনফিট, তারা সারা দিন জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করতে করতে দিন পার করেন। গনতন্ত্র, বেগম জিয়া মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি এই অবৈধ সরকারের কাছে করে লাভ নেই। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এই চেয়ারটাকে কলংকিত করেছেন।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন, চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদি লুনা, ড. এনামুল হক চৌধুরী, দলের সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ সাখাওয়াত হোসেন জীবন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ্ও ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রিয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকার সাবেক মেয়র মরহুম সাদেক হোসেন এর পুত্র ইশরাক হোসেন, বিএনপি নেতা ওমর ফারুক শাফিন, ফরহাদ চৌধুরী শামিম, সামিয়া বেগম চৌধুরী, আব্দুল মান্নান শাহজামাল নুরুল হুদা জামাল, মামুনুর রশীদ মামুন, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দীকি, এড. এমরান আহমদ চৌধুরী, এড. হাসান আহমদ পাটোয়ারি রিপন, মৎসজীবী দলের যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন খান, আব্দুল আহাদ খান জামাল, তারেক কালাম, সাজিদ হাসান বাবু, শামিম আহমদ, আলহাজ শহীদ আহমদ, মোমিনুল ইসলাম মোমিন , আলতাফ হোসেন সুমন,সালেহা কবির শেপি প্রমখূ।
এদিকে, বিএনপির পূর্ব ঘোষিত এই সমাবেশে সকাল থেকে দলে দলে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। বিকাল ৩টার দিকে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের ভিড়ে পূর্ণ হয়ে যায় টুকেরবাজারের মাঠ। বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে পুলিশ ছিলো সতর্ক অবস্থানে। সমাবেশস্থলে সবধরণের বিশৃঙ্খলা এড়াতে মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ