বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান বলেন, ছাগল দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ চালাচ্ছে। সবদিক দিয়ে শেখ হাসিনার পৃথিবী ছোট হয়ে আসছে। ২০২২ সালের মধ্যে হাসিনা সরকারের পতন হবে। তার অধীনে আগামীতে কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। ২ কোটি টাকার জন্য যদি খালেদা জিয়ার জেল হয়, তাহলে ৩২ কোটি টাকার জন্য কতোবছর জেল হবে? বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপিকে শক্তিশালী করুন। রাজপথে নামুন। রক্ত না দিলে মুক্তি মেলে না।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, দেশে ৫ ধাপে ইউপি নির্বাচন শেষ হয়েছে। প্রথম ধাপে নৌকা প্রতীকের ৭৬ শতাংশ পরাজয় হয়েছে। ধাপে ধাপে পরাজয় হয়েছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের। যে নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি, সেই নির্বাচনে তাদের এই অবস্থা। জামানত বাতিল হচ্ছে। আ’লীগ নেতাকর্মীরাই আজ নৌকার বিরুদ্ধে দাড়িয়েছে।
নৌকা আজ শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতীক নয়। নৌকা এখন লুটপাট, ধর্ষণ, দুর্নীতির প্রতীক। এ কারণে মানুষ আজ বিরুদ্ধে। তার উদাহরন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।
পথে পথে বাধা দিয়েছেন, গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছেন, পুলিশ বেত্রাঘাত করেছে তবুও মানুষ সমাবেশে এসেছে। গাড়ি, লঞ্চ, ট্রেন বন্ধ করে লাভ নেই। জনগণ জেগে উঠেছে, এই জনগণকে ঠেকানো সম্ভব নয়। অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। মনে রাখবেন খালেদা জিয়ার টিকে থাকাট সাথে আ’লীগের টিকে থাকার সম্পর্ক রয়েছে।
খুলনায় গণ সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, আ’লীগ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিচ্ছে না। তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই সরকারের কাছে অনুনয় বিনয় নয়। ফয়সালা হবে রাজপথে। এই সরকারের বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে। সংঘবদ্ধ আন্দোলন এবং একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
আজ বুধবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া ফুটবল মাঠে গণসমাবেশে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় নেতারা এসব কথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে। সভাপতিত্ব করছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান। বেলা ১২ টায় শুরু হওয়া এই সমাবেশে বক্তব্য শুরু করেন ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বক্তৃতা করেন সৈয়দ রেহানা ঈসা, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, শামীম কবির, গালিব ইমতিয়াজ এলাহী, মোল্লা কবির হোসেন, একরামুল হক হেলাল, ইবাদুল হক রুবায়েদ, আতাউর রহমান রুনু, খান ঈসমাইল হোসেন, এড. সেতারা বেগম, আব্দু মান্নান মিস্ত্রী, ইস্তয়াক হোসেন ইস্তি, গোলাম মোস্তফা তুহিন, তাজিম বিশ্বাস, মতিয়ার রহমান বাচ্চু, গাজী আঃ হালিম, শেখ সরোয়ার হোসেন, হাফিজুর রহমান, শেখ শাহিনুর রহমান, হাবিবুর রহমান হবি, অরুণ কুমার, মশিউর রহমান লিটন, শেখ ফরহাদ হোসেন, আমিনুর রহমান প্রমুখ।
এর আগে ডুমুরিয়া স্বাধীনতা চত্বরে সমাবেশ করার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়েছিল দলটি। তবে একই স্থানে ছাত্র ও যুবলীগের সমাবেশ আহবান করায় সেখানে পুলিশের অনুমতি মেলেনি। পরবর্তীতে বিএনপি গুটুদিয়া ফুটবল মাঠে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সকাল থেকে সমাবেশ স্থলে নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে আসতে শুরু করে।
সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বিশেষ অতিথি বিএনপি চেয়ারপারসন উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মশিউর রহমান। প্রধান বক্তা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা।
সমাবেশ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।