বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজধানীর পূর্বাচলে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা জমে ওঠতে শুরু করেছে। স্টলগুলোতে পণ্য প্রদর্শনীর জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু আগামীকাল থেকে করোনায় নতুন করে বিধিনিষেধ চালু হবে এমন ঘোষণায় দর্শনার্থীদের মাঝে ভাটা পড়বে বলে মনে করছে মেলা কর্তৃপক্ষ।
গতকাল মেলা প্রাঙ্গনে দর্শনার্থীদের অনেকেই বলেছেন, মেলার প্রথম দিন থেকেই সামাজিক দূরত্ব অনুপস্থিত। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হতে যাওয়া বিধিনিষেধে মেলায় দর্শনার্থী সংখ্যা অনেক কমে যাবে বলে অনেক স্টলের সাথে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
এ বিষয়ে ইপিবির সচিব ও মেলার পরিচালক মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, বাণিজ্য মেলার বিষয়ে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। মন্ত্রণালয় থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে আলোকে কাজ হবে। বিধিনিষেধে গণজমায়েত বন্ধের ঘোষণা মেলার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা তৈরি করেছে। আমরা আশা করছি, এ বিষয়ে ইতিবাচক কিছু হবে।
এদিকে, আরোপিত বিধিনিষেধের মধ্যেও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাণিজ্যমেলার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিধিনিষেধের আলোকে আমরা দেখেছি, নির্দেশনা অনুযায়ী বাণিজ্যমেলার কার্যক্রম চালাতে কোনো অসুবিধা নেই। মেলা বন্ধ করার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বিধিমালার আলোকে যেভাবে করা দরকার সেভাবে হবে। মার্কেট-শপিংমল তো চলছেই, এটাও খোলা জায়গায় না। তবে যতটুকু খোলা আছে, সেখানে মানুষ যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করে সেদিকে কঠোর নজরদারি থাকবে।
গতকাল মেলার ১১তম দিনে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মেলায় থাকা বিভিন্ন পণ্যের স্টলের পরিচালক ও ব্যবসায়ীদের মাঝে দুশ্চিন্তার ছাপ পড়েছে। স্টল পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার থেকে বিধিনিষেধ কার্যকর হলে তারা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
এদিকে মেলা প্রাঙ্গনে একটি খাবার হোটেলের পরিচালক ইয়াছিন আরাফাত জানান, স্টল পেতে বরাদ্দ বাজেট, সাজসজ্জা ও কর্মচারীর বেতনসহ ইতোমধ্যে বড় অঙ্কের টাকা খরচ হয়ে গেছে। বিধিনিষেধে মেলায় দর্শনার্থী কমে গেলে বড় অঙ্কের লোকসান গুণতে হবে।
মেলায় আসা স্কুল শিক্ষক এনামুল হক বলেন, সবার আগে স্বাস্থ্যবিধি মানা জরুরি। কেননা সবকিছুর আগে জীবন। কোন ধরনের অযুহাত ছাড়াই মেলায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা না গেলে বিপদে পড়তে হবে। কাঞ্চন কেন্দুয়া এলাকার বাসিন্দা সোহেল মিয়া বলেন, পূর্বাচলের প্রথমবারের মতো বাণিজমেলা শুরু হওয়ার পর দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্থ হতে যাচ্ছে। সবার মেন রাখা প্রয়োজন জীবন বাঁচলে এমন মেলা অনেক দেখা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।