Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিপাকে চালক-যাত্রীরা পিরোজপুরের কঁচা নদীতে ডুবোচর

এস এম সোহেল বিল্লাহ, পিরোজপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

পিরোজপুরের কঁচা নদীতে জেগে ওঠা ডুবোচরে ব্যাহত হচ্ছে টগড়া-চরখালী রুটের ফেরি চলাচল। হুমকির মুখে পড়েছে জেলা শহরের সঙ্গে উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা। অপরদিকে, বিপাকে পড়েছে ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ১৪টি রুটের যানবাহন চলাচল।
জেলার বৃহৎ নদী কঁচা নদীর স্রোত কমে যাওয়ায় ও যথাযথ ড্রেজিংয়ের অভাবে এ নদীর টগরা পয়েন্টে আরও প্রায় এক দশক আগে থেকে চর পড়া শুরু করেছে। এ সমস্যা নদীর প্রায় অর্ধেকটা জুড়েই। ২ কিলোমিটার চওড়া এ নদীটি পাড় হতে বছরের অন্যান্য সময় ২০-২৫ মিনিট সময় লাগলেও শীত মৌসুমে এর চিত্র পুরোটাই ভিন্ন। এ সময় নদীতে পানি কমে যাওয়ায় প্রায়ই ফেরি ডুবোচরে আটকা পড়ে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নদীর মাঝেই ফেরি আটকে থাকে। যতক্ষণ নদীতে জোয়ার না আসে ততক্ষণ এ অপেক্ষা চলতে থাকে। ফলে বিপাকে পড়ে টগড়া-চরখালী দিয়ে চলাচল করা ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ১৪টি রুটের যানবাহন। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাহত হচ্ছে প্রশাসনিক কর্মকান্ড ও জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থা।
বাসযাত্রী হোসেন আলী বলেন, কঁচা নদীর মাঝখানে চর জেগে উঠেছে। মাঝখানে ও পাশে একাধিক ডুবোচর রয়েছে, সেগুলো ভাটার সময় দেখা যায়। ডুবোচরের কারণে ফেরি চলাচলে অনেক বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দিনে ও রাতে প্রায়ই সময় ফেরি চরে আটকে যায়। নদী খনন ও নদী শাসনের প্রয়োজন কিন্তু কঁচা নদীর ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না। দ্রæত এ সমস্যার সমাধান করা না হলে আমাদের ভোগান্তি আরও বাড়বে। এ সমস্যার সমাধান যেন দ্রæত করা হয় সে জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বাস চালক জলিল বলেন, ভাটার সময় পন্টুন অনেক নিচে নেমে যাওয়ায় ফেরিতে গাড়ি উঠাতে অনেক সমস্যা হয়। মাঝে মাঝে ডুবোচরের কারণে নদীতে ফেরি আটকে যায়। এতে মূল্যবান সময় নষ্টসহ অনেক সমস্যায় পড়তে হয় চালক ও যাত্রীদের। এই নদী খনন করা না হলে হয়তো স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে এ রুটের ফেরি চলাচল।
ফেরি চালক জালাল বলেন, অতি দ্রæত এ সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন। শীতের রাতে নদীর মধ্যে চরে বেঁধে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়। প্রতিদিন টগড়া-চরখালী ফেরি ঘাট থেকে প্রায় সহস্রাধিক যানবাহন ও ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষ পারাপার করেন।
ইজারাদার আজমীর হোসেন মাঝি বলেন, ডুবোচরের কারণে কঁচা নদীতে ফেরি চলাচলে অনেক সমস্যা হচ্ছে। যাত্রীদের যেমন ভোগান্তি, তেমনি ফেরি কর্তৃপক্ষেরও চরম ভোগান্তি হচ্ছে। ভাটার সময়ে ফেরি চালানো অসম্ভব। ফলে জোয়ারের জন্য ঘণ্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। এ অবস্থার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, কঁচা নদীর নাব্যতা সঙ্কটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কঁচা নদীতে নাব্যতা সঙ্কটের বিষয়টি আমরা জানি। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। আমরা নৌপরিবহন অধিদফতরে কথা বলে এ সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করব।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ