রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মাদারীপুর সদর উপজেলায় ৫৮টি করাতকল রয়েছে। যার মধ্যেই ৪০টি অবৈধ। এ তথ্য মাদারীপুর বন বিভাগের। এর মধ্যে শুধু মাদারীপুরের বিসিক শিল্প নগরীতে রয়েছে অবৈধ ১৩টি করাতকল। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের চোখের সামনেই বছরের পর বছর ধরে চলছে এসব অবৈধ করাতকল। ফলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বন বিভাগের মতে, করাতকল স্থাপনের জন্য লাইসেন্স বাধ্যতামূলক হলেও করাত কলের মালিকরা মানছেন না সেই আইন। ইচ্ছে হলেই খেয়াল-খুশি মতো বসানো হচ্ছে করাতকল। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনও রহস্যজনকভাবে নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মাঝে-মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হলেও অবৈধ করাতকল বন্ধে নেয়া হচ্ছে না দীর্ঘমেয়াদি কোনো পদক্ষেপ। এসব অবৈধ করাত কলের ছড়াছড়িতে স্থানীয় অসাধু চক্রের কবলে প্রতিনিয়ত উজাড় হচ্ছে বন।
সরেজমিনে বিসিক এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কুমার নদের কোল ঘেঁষে স্থাপন করা হয়েছে করাতকলগুলো। পাশে রাখা হয়েছে সারি সারি গাছের গুঁড়ি। এর মধ্যে মেহগনি, শিশুকানি, আকাশী, চাম্বল, রেইনট্রি কড়ই, আমসহ বিভিন্ন গাছ রয়েছে। ট্রলার বোঝাই করে আনা হচ্ছে এসব গাছ।
মাদারীপুর ফ্রেন্ডস অফ নেচারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাজন মাহমুদ বলেন, ‘হাতের নাগালেই এসব অনুমোদনহীন করাতকল পেয়ে লোকজন গাছ বেশি কাটছে। গাছ হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী উপাদান। এভাবে বেশি বেশি গাছ কাটা আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকর। সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই, অনুমোদনহীন করাত কলগুলো যেন বন্ধ করা হয়। পাশাপাশি চাইলেই যেন করাতকল বসানোর অনুমতি দেওয়া না হয়।’ অপরদিকে অবৈধ করাতকলের কারনে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিতও হচ্ছে।
বিসিক শিল্পনগরীর করাতকল মালিক সমিতির সভাপতি বাচ্চু খান বলেন, ‘কিছুদিন আগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা করেছে এবং আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন করাতকলগুলোর অনুমোদন নিয়ে চালানোর জন্য। আমরা যত দ্রুত সম্ভব বৈধ কাগজপত্র নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে চাই।’ কিন্তু এতদিন লাইসেন্স ব্যতীত করাতকল পরিচালনা কেন করেছেন এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান সমিতির এ কর্মকর্তা।
মাদারীপুর বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাদারীপুর সদর উপজেলায় ৫৮টি করাতকল আছে, যার মধ্যে লাইসেন্স আছে মাত্র ১৮টির। বাকি ৪০টি অবৈধ। এর মধ্যে লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করেছে ৩টি করাতকলের মালিকপক্ষ। বিসিক শিল্পনগরীতে অবস্থিত ১৩ করাত কলের কোনোটিরই লাইসেন্স নেই। ‘বিসিকে করাতকল স্থাপনের কোনো বৈধতা নেই। অবৈধভাবে এগুলো স্থাপন করা হয়েছে। অবৈধ করাত কলের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নির্দেশ রয়েছে। আমরা এর কপি জেলা প্রশাসক ও ইউএনও অফিসে পাঠিয়েছি। এসব অবৈধ করাতকল সরাতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘অবৈধ করাত কলগুলো বন্ধে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। প্রয়োজনে ওখানকার সব বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।