Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ক্ষতি পোষাতে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষক

স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরা থেকে | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

প্রাকৃতিত দূর্যোগের কারণে মাগুরার কৃষকরা পাকা আমন ধান সুষ্টভাবে ঘরে তুলতে না পারায় কিছুটা ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বোর মৌশুমে ভালো ফসল উৎপাদনের বুকভরা আশা নিয়ে বীজতলা তৈরিতে এখন কৃষকরা ব্যাস্ত সময় পার করছেন।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা নিয়ে বোরো চাষের জমি ও বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মাগুরা জেলার মহম্মদপুরের আট ইউনিয়নের কৃষকেরা। পাঁকা আমন ধানের ক্ষতি হওয়ায় কৃষি অফিসের পরামর্শে আবারও ধান রোপণ করেছে কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ছয় হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। ২০০০ হেক্টর হাইব্রিড ও ৪০০০ হেক্টর উফশী ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কৃষকদের আদর্শ বীজতলা তৈরীর জন্য কৃষি বিভাগ পরামর্শ দিচ্ছে।
তবে এ বছর এলাকার বেশির ভাগ কৃষক উফশী ব্রি- ২৮, হাইব্রিড এ এসএল ৮ এইস জাতের ধান চাষের লক্ষ্যে বীজতলা তৈরি করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে উফশী অন্য জাতের মধ্যে ব্রি ২৯ ব্রি- ৮১, ব্রি-৮৪ ব্রি- ৮৯ ব্রি- ৯২ ইত্যাদি জাতের ধান চাষ হয়েছে।
উপজেলার বাবুখালী, দীঘা, বিনোদপুর, রাজাপুর, নহাটা, বালিদিয়া, পলাশবাড়ীয়া ও মহম্মদপুর সদর ইউনিয়নের কৃষকদের আমন ধান কাটা শেষ হয়েছে। নিচু জমিতে বীজতলা তৈরি করে বোরোর চারা তৈরি করতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন অনেক কৃষক। শত বাঁধা পেরিয়ে ঘুরে দাড়াতে চান কৃষকরা।
উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের চালমিয়া গ্রামের কৃষক জিবলু মোল্যা জানান, ‘ভালো ফলন হওয়ায় এ বছর তিনি ব্রি-২৮ রোপণ করছেন। তবে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের সময় প্রচুর বৃষ্টিতে আমার ৫০ শতক জমির ধান পানিতে ডুবে যায়। বোরো ধান চাষ দ্রুত করার চেষ্টা করছি।’
কৃষক আকিদুল মোল্যা জানান, ‘তার নিজের জমি নেই। তাই সে বর্গাচাষ করে। চারা তৈরি করতে বীজতলা করেছে। আশা করছে কয়েক সপ্তাহ পরে রোপণ শুরু করতে পারবে। এবার ডিজেলের দাম বেশি হওয়াতে গত বছরের তুলনায় বিঘা প্রতি উৎপাদন খরচ বাড়বে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা।’
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রণব কুমার জানান, তার ব্লকে কৃষকদের সুষম মাত্রার সার ব্যবহার, জৈব,অজৈব ও গুটি ইউরিয়া সার প্রয়োগ এবং পোকামাকড় দমনসহ কৃষকদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান জানান, ‘অতিবৃষ্টিতে কৃষকদের অনেকের আমনের ফলন ভালো হয়নি। বোরোর আবাদে তারা যেন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন সে বিষয়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা পরামর্শ দিচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ