বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামপুলিশ (দফাদার) মো. জয়নাল হাওলাদারের ভোটার আইডি কার্ডে বয়স ৬০ বছর পার হলেও বয়স কমিয়ে ভূয়া জন্ম সনদ তৈরি করে চাকুরী টিকিয়ে রাখছেন তিনি। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশ হলে চাকুরী হারান। অনিয়মের মাধ্যমে চাকরি টিকিয়ে রাখার বিষয়ে প্রমানিত হওয়াতে তাকে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। একই সাথে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত সরকারী বেতন ভাতা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার(১১ জানুয়ারী) উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওছার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, মো. জয়নাল হাওলাদার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ (চৌকিদার) পদে যোগদান করেন। পর্যায়ক্রমে তিনি গ্রাম পুলিশ (দফাদার) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। এরপরে তার বয়স অনুযায়ী তার চাকরির শেষ কার্যদিবস ছিল ২০১৯ সালের ১ সেপ্টম্বর পর্যন্ত। তবে বয়স কমিয়ে ভূয়া ভোটার আইডি ও জন্ম সনদ তৈরি করে চাকরি টিকিয়ে রাখের তিনি। এ নিয়ে গত ২২ নভেম্বর বেশ কয়েকটি পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়। সে অনুযায়ী গতবছরের ২২ নভেম্বর পর্যন্ত তার বয়স ৬০ বছর ২ মাস ২৩ দিন। তিনি নির্বাচন কমিশনে কোনো ধরনের বয়স সংশোধনের জন্য আবেদন করেনি । নিউজ প্রকাশের পরে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওছার হোসেন নিজেই তদন্ত শুরু করেন। তদন্তকালে নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে গ্রামপুলিশ জয়নাল হাওলাদারের ভোটার আইডি কার্ডে প্রকৃত জন্ম তারিখ ০২-০৯-১৯৬১ ও ভোটার তালিকায় দেওয়া যার ভোটার নং ০৪০৬৪৪০০০৩০৩ ও আইডি নং ১৯৬১০৪১০৯৩৯৭৪৮৬০৩ পাওয়া যায় । সেই ভূয়া জন্ম সনদের নম্বরে অনলাইনে সার্চ দিলে ঐ ইউনিয়নের মনির নামের এক জনের নাম আসে। বিষয়টি তদন্তে সুস্পষ্ট বয়স জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কমিয়ে চাকুরী করতেছে ও ৫৯ বছরের বেশি চাকরি করায় বিষয়ে সত্যতা পায় প্রশাসন। পরে গত ৭ ডিসেম্বর লিখিতভাবে তাকে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সেখানে আরও বলা হয় অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত ভাতা সরকারী কোষাগারে ফেরত ও একই সাথে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে ফৌজদারি কার্যক্রম গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ (দফাদার) মো. জয়নাল হাওলাদারকে মুঠোফোনে কল দিলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজী বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে চাকুরী করায় দফাদার জয়নালের চাকুরী থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার। পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওছার হোসেন জানান দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশের পরিপেক্ষিতে এবিষয়ে তদন্তু করা হয়। তদন্তে তার জালিয়াতি প্রমানিত হওয়াতে তাকে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।