বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন বর্তমানে দেশে শুধু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ নয়, সার্বিকভাবেই দেশের পরিস্থিতি ভালো নয়। বেকার সমস্যা একটা চরম পর্যায়ে চলে গেছে। লক্ষ লক্ষ নয়, কোটি কোটি মানুষ বেকার হয়ে বসে আছে।
তিনি আজ মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি অবজারভ করে দেখেছি, মানুষ ফুটপাতের অর্ধেকটা দখল করে থাকে কেন? বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা ছেলেরা ফুটপাতে বসে হকারি করছে। তারা স্কুটার চালাচ্ছে, বেবিট্যাক্সি চালাচ্ছে। পাঠাও বা উবার চালিয়ে তারা জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করছে। বেকার সমস্যা এমন একটা পর্যায়ে গেছে যে, মানুষ তাদের ভিটেমাটি বিক্রি করে ছেলেদের বিদেশে পাঠাতে বাধ্য হচ্ছে। অনেকটা অনিরাপদভাবে, ঝুঁকি নিয়ে তারা দেশের বাইরে যাচ্ছে।
দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশে জিনিসপত্রের দামের ঊর্ধ্বগতির কোনো সীমা নেই, কোন কারণ নেই। দফায় দফায় দাম বাড়ছে। দেখার যেন কেউ নেই। কোন মনিটরিং নেই। সমস্ত কিছুর দাম বাড়ানো হচ্ছে। মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে।
জিএম কাদের বলেন, মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। মানুষের ইজ্জতের কোনো মূল্য নেই। ঘর থেকে বের হলেই দুর্ঘটনা ঘটছে।
দেশে মাদকের ভয়বহতা তুলে ধরে তিনি বলেন, বেকার সমস্যার কারণে মাদক কারবারি বাড়ছে। কোটি কোটি মানুষ মাদকের দিকে চলে যাচ্ছে। এটা আগামী প্রজন্মের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে যাচ্ছে।
করোনা মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা নাজুক তা গতবার করোনা পরিস্থিতিতে বোঝা গেছে। এবার ওমিক্রন যদি বড় ধরণের আঘাত হানে তাহলে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত এ কথা বলা ঠিক হবে না। আমরা মনে করি, সরকারকে এখনই এ বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে।
উপজেলা পর্যায়ে আইইসিইউ সুবিধা, সব মানুষদের টিকার আওতায় আনা ও উন্নত বিশ্ব যেভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছে সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা আমরা বারবার বলেছি। কিন্তু সরকার যেটা করেছে সেটা যথেষ্ট নয়।
নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে যুক্তিসঙ্গত আলোচনা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এর আগে তিনি বিমানযোগে ঢাকা থেকে সৈয়দপুরে আসেন। পরে সড়ক পথে রংপুর সার্কিট হাউসে পৌঁছালে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এসময় রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রংপুর মহানগর কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেনসহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ও জিয়ারত করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।