Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণাঞ্চলে শেষ পৌষে বসন্তের আমেজ

তাপমাত্রার পারদ ঘন ঘন ওঠানামায় জনস্বাস্থ্যসহ রবি ফসলের জন্য বিরূপ পরিস্থিতি

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০২২, ৫:০২ পিএম

বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলে শেষ পৌষের শীত উধাও হয়ে বসন্তের আমেজ সৃষ্টি হওয়ায় রবি ফসল ভিন্নতর বিরূপ পরিস্থিতির সম্মুখিন। বরিশালে মঙ্গলবার সকালে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ১৩.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২.১ ডিগ্রী বেশী। দুপুরে তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রী বেশী, ২৯ ডিগ্রী সেলসিয়াসে উঠে যায়। গত বুধবার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১০.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে ১১.৪ ডিগ্রীতে উঠলেও সোমবার সকালে তা ছিল ১৩.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। অথচ আবহাওয়া বিভাগের মতে, জানুয়ারী মাসে বরিশালে স্বাভাবিক সর্বনি¤œ তাপমাত্রা থাকার কথা ১১.৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
তবে চলতি মাসে ২Ñ৩টি শৈত্য প্রবাহ সহ একটি ৪Ñ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার তীব্র শৈত্য প্রবাহের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে আবহাওয়া বিভাগের দীর্ঘ মেয়াদী বুলেটিনে। জানুয়ারী প্রথম সপ্তাতে বরিশাল অঞ্চলে একটি মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে গেলেও এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের ওপরে। গতমাসে স্বাভাবিক ১৪.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের স্থলে ২০ ডিসেম্ববর পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস হ্রাস পেয়ে বরিশালে মৌসুমের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯.৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তাপমাত্রার এ আকষ্মিক ওঠা নামাকে জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তন বলেই মনে করছেন পরিবেশবীদ গন।
অপরদিকে গত মাসের প্রথম সপ্তাহে নি¤œচাপ ‘জাওয়াদ’এ ভর করে অগ্রহায়নের অকাল বর্ষনে দক্ষিনাঞ্চলে উঠতি আমন সহ রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর প্রায় ৮০ কোটি টাকার ফসল ক্ষতির হিসেব করলেও মাঠ পর্যায়ের কৃষিবীদদের মতে তা ছিল প্রায় ১শ কোটি টাকার মত।
এবার ইতোমধ্যে দু দফার শৈত্য প্রবাহে বেশ কিছু বোরো বীজতলা ‘কোল্ড ইনজুরী’ ও গোল আলুর জমি ছত্রাকবাহী ‘লেট ব্লাইট’ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে নেমে যাওয়ায় গম উৎপাদনের জন্য অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করলেও এখন তা স্বাভাবিকের ওপরে ওঠায় পরিস্থিতি ভিন্নতর হতে যাচ্ছে। তবে অন্যান্য রবি ফসলের জন্য বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা অনুকুল বলে মনে করছেন কৃষিবীদগন।
তবে ঘনঘন তাপমাত্রা ওঠানামায় জনস্বাস্থ্যের জন্যও বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। গত পক্ষকালে এ অঞ্চলে ঠান্ডাজনিত কারণে বিপুল সংখ্যক শিশু ও বয়বৃদ্ধ নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালগুলোতেও এধরনের রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আবহাওয়া বিভাগ থেকে আগামী ২৪ হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভবনার কথা বলা হলেও মঙ্গলবার বিকেলে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দক্ষিনাঞ্চলের আকাশ ছিল রৌদ্র করোজ্জল। তবে এসময়ে যেকোন বৃষ্টি জনস্বাস্থ্য সহ রবি ফসলের জন্য কোন অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ