বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে বৃহত্তর পরিসরে ভবনের ছাদে সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপিত হচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি)। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে স্রেডা (সাসটেইনেবল এন্ড রিনিউএবল এনার্জি ডিভেলপমেন্ট অথরিটি) একটি সম্ভাব্যতা যাচাই রিপোর্ট প্রদান করেছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে নেট মিটারিংয়ের ব্যাপারে ওজোপাডিকোর সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই এমওইউ’র আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমেদ ভবন ও মাইকেল মধুসূদন দত্ত অতিথি ভবনের ছাদে বছরে ৭৫ কিলোওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষম প্যানেল বসানো হবে।
এ ব্যাপারে স্রেডা কারিগরি সহায়তা দেবে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ব্যবহার ছাড়াও জাতীয় গ্রিডে দেওয়া হবে। এরফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের অর্থ হ্রাস পাবে। একই সাথে বছরে প্রায় ৫শ’ টন কার্বন নিঃসরণ কমবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন আশা করেছেন, এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, আবাসিক হল ও অন্যান্য বড় স্থাপনার ছাদেও সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো-তে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে গ্রিন এনার্জি উৎপাদনের ওপর যে গুরুত্বারোপ করেছেন এবং ২০৪১ সালের যে অভিলক্ষ্য ঘোষণা করেছেন সে বিষয়টি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সময়ের অনেক আগেই এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ের প্রথমেই এই অভিলক্ষ্য পূরণে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-প্রধান প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) এস এম মনিরুজ্জামান পলাশ জানান, চলতি অর্থ বছরের মধ্যেই কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এই সৌর প্যানেল বসানোর পর তার ২৫ বছর আয়ুষ্কাল ধরা হয়েছে এবং দশ বছরের মাথায় কেবল একটি ইনভার্টার পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি আরও জানান, গ্রিন এনার্জি উৎপাদনের এ বিষয়ে উপাচার্যের একান্ত আগ্রহ ও উদ্যোগে ইতোমধ্যে গত ১৯ ডিসেম্বর ‘নেট মিটারেড রুফটপ সোলার’ শীর্ষক একটি কর্মশালা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে আমরা এ বিষয়ে সম্যক ধারণা পেয়েছি যা এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ইতিবাচকভাবে কাজে আসবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।