বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ৭ নভেম্বর ‘ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ এর দিন `সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ব্যাপক জনসমাগম ঘটাবে বিএনপি।
শনিবার সকালে মহানগর বিএনপির এক যৌথ সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে একথা জানান।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর আমরা সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আমরা বলতে চাই, সেইদিন যেন আমরা এমন একটা সমাবেশ করতে পারি যা থেকে প্রমাণিত হবে বিএনপি এখনো বাংলাদেশে এক নম্বর রাজনৈতিক দল। বিএনপির থেকে বড় কোনো রাজনৈতিক দল নেই- এটা আমাদেরকে প্রমাণ করতে হবে।
এই লক্ষ্যে রাজধানীর সকল ওয়ার্ডে প্রচার-প্রচারণা জোরদার করার আহবান জানান ফখরুল।
গত ২০ অক্টোবর বিএনপির যৌথ সভায় ৭ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে সমাবেশ করার কথা ঘোষণা করে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পালাবদলের এক পর্যায়ে সেনানিবাসে বন্দি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর মুক্ত হন। এই দিবসটিকে বিএনপি ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
নয়া পল্টনে মহানগর বিএনপি কার্যালয়ের মাওলানা ভাসানী মিলনায়তনে মহানগরে এই যৌথ সভা হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, আমরা এক কঠিনতম সংকটের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। গণতন্ত্রের জন্য, দেশের জন্য, দেশের স্বাধীনতার জন্য এই সময়টা সবচাইতে কঠিন সময় যাচ্ছে। অতীতে এই ৭ নভেম্বরে জাতি একটা বড় বিপর্যয় কাটিয়ে উঠেছিলো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে, সিপাহী-জনতার নেতৃত্বে। সেদিন সৈনিক ও জনগণের এক অভূতপূর্ব ঐক্যের সৃষ্টি হয়েছিলো, যে ঐক্যের মধ্য দিয়ে আধিপাত্যবাদের যে চক্রান্ত তাকে নৎসাৎ করে দিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের একটি বাংলাদেশ ও স্বাধীন একটি বাংলাদেশ তৈরি করবার জন্য তারা সফল হয়েছিলেন।
মহানগর আহবায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ৭ নভেম্বর স্মরণকালে সমাবেশ করতে হবে। এজন্য সকলকে সকল স্তরের কমিটিকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। এই সভা থেকে সকলে এই সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে সমাবেশ করার কাজে নেমে পড়বেন- এটাই আমরা চাই।
মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে এই যৌথ সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, মহিলা দলের পেয়ারা মোস্তফা, উলামা দলের শাহ নেসারুল হক, মহানগর বিএনপির কাজী আবুল বাশার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।