Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ট্রিপল হত্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও ৫ জন রিমান্ডে

কয়রা (খুলনা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালি ইউনিয়নে বামিয়া গ্রামের বাবা, মা ও মেয়ে নৃশংস্ব হত্যাকান্ডের মামলায় মৃত্যু আব্দুল মাজেদ গাজির ছেলে আব্দুর রশিদ গাজী ১৬৪ ধারায় স্বীকারউক্তি জবানবন্দি দিয়েছেন এবং ৫ জনকে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
পলাতক মৃত্যু আব্দুল মাজেদ গাজির পুত্র রশিদ গাজীকে গত ৬ জানুয়ারি যশোরে আটক করে খুলনা জেলা ডিবি পুলিশ। এবং ৭ জানুয়ারি রাতে উপজেলার বামিয়া গ্রামের আবু বকর গাজীর দুই ছেলে পল্লী চিকিৎসক সাইফুল্লাহ (৩৫) ও শাহীন ( ৩৮), মৃত নুরমান গাজীর ছেলে আব্দুল হক (৬০) ও তার স্ত্রী তাসলিমা, আরশাদ সানার ছেলে মোস্তফা (৪০), আলী গাজীর ছেলে আল আমিন (৩৫) এবং আব্দুল মাজেদ গাজীর ছেলে আব্দুর রশিদকে আটক করে কয়রা থানা পুলিশ এবং ৯ জানুয়ারি কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করলে মৃত আবদুল মাজেদ গাজীর ছেলে আব্দুর রশিদ গাজী স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছেন। এবং পল্লী চিকিৎসক সাইফুল্লাহ (৩৫) ও শাহীন (৩৮) আল-আমিন, আব্দুল হক (৬০)কে ৩ দিনের রিমান্ড ও তাসলিমাকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন এবং আরশাদ সানার ছেলে মোস্তফাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন বিজ্ঞ আদালত।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর দিবাগত রাতে কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের বামিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মাজেদ গাজীর ছেলে হাবিবুল্লাহ গাজী (৩৩), তার স্ত্রী বিউটি খাতুন (২৫) ও একমাত্র কন্যা হাবিবা খাতুন টুনিকে (১৩) হত্যা করে পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ২৬ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় মাজেদের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহত হাবিবুর রহমানের মা কোহিনুর খানম বাদী হয়ে ২৬ অক্টোবর রাতে কয়রা থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ