Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নারায়ণগঞ্জে ‘ফেয়ার নির্বাচন’ না হওয়ার আশঙ্কা জাপা মহাসচিবের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:৫৮ পিএম

জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ভোট ফেয়ার হবে না বলে আমাদের আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, গত কয়েক মাসে স্থানীয় সরকার যে নির্বাচন হয়েছে, বিশেষ করে প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপ; সেগুলোতে নির্বাচনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে।

আজ সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। টাঙ্গাইল ৭ উপ-নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের আশঙ্কা, নির্বাচনটা ফেয়ার হবে না। আগের নির্বাচনগুলোয় জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতীকে অনেক প্রার্থী দিয়েছিল। আমাদের প্রার্থীদের মারধর করা হয়েছে, পেটানো হয়েছে এবং বিভিন্নভাবে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়েছে। কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে তাকে এলাকা ছাড়তে হয়েছে। অনেক জায়গায় ব্যক্তিগতভাবে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সুফল পাওয়া যায়নি। শুধু এটাই না, মাস আগে সিরাজগঞ্জে একটি উপ-নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীর জামাকাপড় পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল। এসব উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে তাতে আমাদের আশঙ্কা মির্জাপুরের নির্বাচনও ফেয়ার হবে না। এ জন্য আজ আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি।

তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন তাকে জাতীয় পার্টি সমর্থন দিয়েছে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী? এমন প্রশ্নের উত্তরে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে কোনো উপযুক্ত প্রার্থী না থাকায় সেখানে আমরা প্রার্থী দিইনি। আর কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য দলীয় কর্মী-সমর্থকদের জন্য কোনো সিদ্ধান্ত নেই। নির্বাচনে সহিংসতার দায় নির্বাচন কমিশনের নয়, দায় প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার এমন বক্তব্যকে আংশিক সঠিক বলে দাবি করেন তিনি। চুন্নু বলেন, উনার বক্তব্য আংশিক সঠিক। নির্বাচনে সহিংসতার জন্য নির্বাচন কমিশনই যে এককভাবে দায়ী তা নয়, রাজনৈতিক দলের, ভোটারদের সবার দায়িত্ব রয়েছে। অনেক সময় দেখা যায়, নির্বাচন কমিশন চাইলেও পারে না যদি শাসক দলের লোকজন বিশেষ করে নির্বাহী ক্ষমতায় যারা থাকেন তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্বপালন না করেন।

তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আমরা বলেছি, আপনার কমিশন গত পাঁচ বছর অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে কাজ করেছে। অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। আপনাদের সময়কালে এটিই হবে কোনো পার্লামেন্টের শেষ উপ-নির্বাচন। আল্লাহ না করুক কোনো আসন যদি কোনো কারণে শূন্য হয়, তাহলে সময়ে সীমাবদ্ধতার কারণে আপনারা আর নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন না। তাই আপনাদের বিদায়ের বেলায় অন্ততপক্ষে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের নির্বাচনটা যাতে নিরপেক্ষ হয়, আপনাদের সমস্ত শক্তি, আইনানুগ যে ক্ষমতা তা প্রয়োগ করুন। নির্বাচন ফেয়ার করার জন্য যা করার দরকার তার সব ধরনের ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ