বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
‘আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। সরকারি দলের লোকজনের বাড়িতেও পুলিশ পাঠিয়ে মারধর করা হচ্ছে। ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামালের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে তার কেয়ারটেকারকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গতকাল রাতে লোকজনের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে থ্রেট করা হয়েছে, তারা যেন আমার পক্ষে কাজ না করে নৌকার পক্ষে কাজ করে। আমার সমর্থকদের হয়রানি করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি নিবেদন আপনারা সচেতন থাকবেন। কোন গুজবে কান দিবেন না। অনেক নির্যাতন হবে, সে নির্যাতন প্রতিরোধ করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) সকালে বন্দর সিটি কর্পোরেশন এলাকার মদনপুরে প্রচারণা ও গণসংযোগকালে স্বতন্ত্র (হাতি মার্কা) মেয়র প্রার্থী এড. তৈমূর আলম খন্দকার এসব কথা বলেন।
এড. তৈমূর আলম মন্তব্য করেন, ‘আপনারা যাচাই করে দেখেন কোন ঠিকাদারের প্রভাবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন চলে। দেখবেন কোন না কোন নাম বেরিয়ে আসবে। যদি না আসে তাহলে বলবেন তৈমূর আলম খন্দকার মিথ্যা বলেছে
তিনি বলেন, আমি কারও কথায় কষ্ট পাইনা। আমার দল ঐক্যবদ্ধ। তার মন্তব্যের কারণে তার দলে যে বিশাল ফাটল এটা জনগণের কাছে পরিষ্কার। শহরে এখন আলোচনা তারাই তো তাদের লোকদের সমর্থন পাচ্ছে না। আর তৈমূর আলম খন্দকার সকলকে নিয়ে মাঠে নেমেছে। আমার জয় হবে এটাই জনগণ বলছে। কারও নামের সাথে কোন বিশেষণ দেয়াটা সভ্যতা নয়। এখন এ বিশেষণ আইভীর মুখেই শোনা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচনটা হচ্ছে আঠারো বছরে পৌরসভার ব্যর্থতা এবং নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি পায়নি পক্ষান্তরে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি পেয়েছে, পানির জন্য দেড় লক্ষ টাকা নেয়া হচ্ছে। সিটি করপোরেশন থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হলেও ট্যাক্স দিতে হয় যেটা অন্য কোন সিটি করপোরেশনে নেই। সিটি করপোরেশন কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান না। এটা একটা সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সিটি করপোরেশন জনগণকে সেবা দিবে। কিন্তু সেই সেবার বদলে তাদের ট্যাক্স বেশি গুনতে হচ্ছে। উন্নয়ন প্রজেক্টের কথা বলা হয়। আমরা চাই পরিকল্পিত উন্নয়ন। সেই উন্নয়নের প্রশ্নে আপনি দেখবেন সিটি করপোরেশন কন্ট্রাক্টারদের সিন্ডিকেটে পরিণত হয়েছে। এই নির্বাচনেও প্রতি ওয়ার্ডে কনট্রাক্টররা নির্বাচন পরিচালনা করছে। সেখানে সিটির কর্মচারীদের ব্যবহার করা হচ্ছে।
মেয়র প্রার্থী এড. তৈমূর আলম বলেন, নারায়ণগঞ্জের জনগণ যে কারণে সিটি কর্পোরেশনের প্রয়োজন অনুভব করেছিল সে অনুযায়ী মানুষের সেবা বৃদ্ধি পায়নি। এখনও জলাবদ্ধতা, যানজট, বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণরোধসহ মানুষের সামাজিক উন্নয়ন এখানে করা হয়নি। দৃশ্যমান যেটা করা হয়েছে সেটা হচ্ছে খালি জায়গায় পার্ক, মাঠ, কমিউনিটি সেন্টার না করে সেখানে এপার্টমেন্ট করা হয়েছে। সেই এপার্টমেন্ট বানানো সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব না। এই এপার্টমেন্ট বিতরণের দায়িত্বেও অনেক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের মানুষ অত্যন্ত অসন্তুষ্ট। এখন নতুন আরেকটা কথা আসছে, আমি তো সকলের সমর্থন কামনা করি। প্রতিটি ভোটারের সমর্থন চাই। প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী যদি মনে করে কেউ আমাকে সমর্থন দেয় তাকে সমর্থন দেয় না। তার সম্পর্কে বিভিন্ন বিশ্লেষণ লাগিয়ে তাদের চরিত্র হনন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।