বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ইউনিয়নের নাম চরকাদিরা।গ্রামের নাম চরবসু। অন্য দশটি গ্রামের মতো। এই গ্রামের মানুষগুলো সহজ-সরল ও সাধাসিদে। সেই গ্রামটি ছিল দুর্ধর্ষ ডাকাত বাহিনীর আস্তানা। বিশেষ করে চরবসু গ্রামটি নোয়াখালীর সুবর্ণচর,রামগতি ও কমলনগর উপজেলার সিমান্তবর্তী এলাকা। দুর্গম চরাঞ্চল এটি। তিন উপজেলা সদর থেকে অনেকটা দুরবর্তী হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসতে চায়না এখানে। রাস্তাঘাটের অবস্থাও তেমন ভাল নেই। এই চরে রাজনৈতিক সেল্টারে একাধিক ভূমিদস্যু বাহিনী গড়ে উঠেছে। এরা রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় সালিশ বাণিজ্য ও দখল বানিজ্যের নেতৃত্ব দিয়ে চরবসু ও বাদামতলী গ্রামকে অশান্ত করে তুলেছে। এর পিছনে রয়েছে থানা পুলিশের সেল্টার। একজনের জমি অন্যজন দখল নেওয়া ,জাল দলিল,সরকারি জমি দখল সহ নামে-বেনামে জমি দখল কিনা বেচা সহ নানা তালবাহানা করে জমি নিয়ে বিরোধ বেড়েছে ব্যাপক হারে। জমির বিরোধ নিয়ে খুনাখুনি করে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে এলাকায়। নিয়মিত চলে মারামারি-হানাহানি - ভাংচুর ও খুনখারাবি। চরবসু-বাদামতলি ও
হকসাহেবের বাজার এলাকায় এখন নানা ত্রাসবাহিনী গড়ে উঠে। মদগাঁজা ও ইয়াবার জমজমাট আড্ডাও চলে এসব এলাকায়। সাবেক মেম্বার ও রাজনৈতিক দলের কথিত নেতা দাবিদাররা এসব ভূমিদস্যু বাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছে। এরা বিরোধ সৃষ্টি করে সালিশ বাণিজ্যের নামে হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা। থানার দালালি থেকে শুরু করে সমাজের নানা অপকর্মে লিপ্ত এসব নেতা ও ভূমিদস্যু বাহিনী।
এসব এলাকাগুলো এক সময়ে শান্তি প্রিয় থাকলে হঠাৎ নদী ভাংগা এলাকার লোকজন এসে বসতি গড়ে তুলেন।এতে মারামারি হানাহানি ও খুনখারাবির ঘটনা বেড়েছে ব্যাপকহারে।এসব ঘটনায় কমলনগর থানায় মামলা-অভিযোগ হচ্ছে অহরহ। বর্তমানে উপজেলার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর স্থানের নাম চরবসু ও বাদামতলি। কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছেনা এসব এলাকার অপরাধীদের। অপরাধীরা সিন্ডিকেট তৈরী করে নানা দল-গ্রুপ ও বাহিনী গড়ে তুলেন। রাতের আঁধারে অন্যের জমি দখল সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত হন এসব দস্যুবাহিনী। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদাসীনয় এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
একসময়ে চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও এখন অনেকটা কমে এসেছে ডাকাতির ঘটনা। মানুষের মাঝে কমেছে ডাকাত আতঙ্ক। ফিরেছে স্বস্তি। ঘুচছে কমলনগরের গায়ে অলিখিতভাবে ' ডাকাতপাড়ার বদনামও। জমি বিরোধ নিয়ে দ্বন্দ্ব মারামারি লেগেই থাকে এ এলাকায়।
চরকাদিরা ইউনিয়নের ৮ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত চরবসু ও বাদামতলী এলাকা। দুর্গম এ চরে নদী ভাংগা লোকজন এসে ঘনবসতি গড়ে তুলেন। নিয়মিত লেগেই থাকে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি-প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর হলে এসব অপরাধীদের দমন করা সময়ের ব্যাপার বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল।
কমলনগর থানার ওসি মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দীন বলেন,আমি যোগদান করার পর এই সময়ে কোনো ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। তবে জমিজমা বিরোধ নিয়ে বেশ কিছু মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়গুলো আমরা স্বচ্ছতার সাথে সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি
লক্ষ্মীপুর জেলার পুলিশ সুপার ড.এ এইচ এম কামরুজ্জামান পিপিএম-সেবা বলেন,
উপকূলীয় এসব এলাকায় স্বাভাবিক পুলিশিংয়ের পাশাপাশি র্যাব ও কোস্ট গার্ড মিলে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে চুরি-ডাকাতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ কারণে অতীতের তুলনায় চুরি-ডাকাতির ঘটনা নেই বললেই চলে। আর জমি দখল বা বিরোধ নিয়ে যেগুলো হচ্ছে এগুলো অনেকটা আদালতের সাথে সম্পৃক্ত। তবুও জমিজমা নিয়ে কোন ধরনের অরাজকতা মারামারি-হানাহানি ও খুনখারাবি করতে দেওয়া হবেনা। এব্যাপারে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।