বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফুলপুর বাসষ্ট্যান্ডে বিভিন্ন গাড়ি থেকে পৌরসভার নামে অবৈধ চাঁদা আদায় বন্ধ ও যানজট নিরসনে সোমবার দুপুরে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যবৃন্দ। উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ইউএনও শীতেষ চন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
জানা যায়, ফুলপুর পৌর এলাকার শেরপুর রোডের মোড়, বাসষ্ট্যান্ড, আমুয়াকান্দা মোড়, পয়ারী রোড, হালুয়াঘাট রোড ও বালিয়া মোড়ে একটি মহল দীর্ঘ দিন ধরে পৌরসভার নামে রশিদ তৈরী করে প্রকাশ্যে অটো রিকসা, সিএনজি, মাহিন্দ্র, নসিমন ও করিমনসহ বিভিন্ন গাড়ি থেকে চাঁদা নিচ্ছে। সড়কে চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও শ্রমীকরা। প্রকাশ্যে পৌরসভার নামে রশিদ দিয়ে এই চাঁদা উঠালেও এতদিন কেউ কিছু বলেনি। এনিয়ে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বার বার আলোচনা ও চাঁদা আদায় বন্ধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে একটি মহল চাঁদা আদায় চালিয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে সোমবার (১০ জানুয়ারী) উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় গাড়ি থেকে অবৈধ ভাবে চাঁদা আদায় ও যানজট নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। আলোচনায় বলা হয়, সড়কে পরিবহন থেকে কোনো প্রকার চাঁদা আদায় করতে দেওয়া হবে না।
আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উক্ত কমিটির অন্যান্য সদস্য, পুলিশ ফোর্স ফুলপুর বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় বন্ধ ও যানজট নিরসনে অভিযান চালান।
এ সময় চাঁদা আদায়কালে দুইজনকে আটক করে থানায় পাঠানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, আর চোর পুলিশ খেলা চলবেনা। আমরা অনেক কাউন্সিলিং করেছি। এখন আর কোন কাউন্সিলিংয়ের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
এখন আইন অনুযায়ী চাঁদাবাজি ও যানজটের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। সভায় উপস্থিত সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার ববিকে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য নির্দেশ দেন।
পৌরসভার মেয়র মি. শশধর সেন বলেন, কেন চাঁদাবাজি বন্ধ হয় না, তা আমি বুঝি না? আমি মাইকিং করেছি তারপরও চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। আমার পৌরসভার পক্ষ থেকে কোন চাঁদা তোলা হয় না।
আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সাংবাদিক এ টি এম রবিউল করিম বলেন, যারা চাঁদাবাজি করে, তারা প্রতিনিয়ত প্রশাসনের সঙ্গে ইদুর ইদুর খেলা খেলে যাচ্ছে। তাদের কথা শুনে (চাঁদাবাজদের) মনে হয় চাঁদাবাজদের শক্তি বেশী। চাঁদাবাজদের এই ধারণা ভেঙ্গে ফেলতে হবে। চাঁদাবাজদের বৃদ্ধাঙ্গুলী না দেখে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।