Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

করোনা নিয়ন্ত্রণে সাফল্যের শেষভাগে ওমিক্রন আতঙ্ক

ফিরে দেখা স্বাস্থ্য খাত-২০২১ বছরজুড়ে আলোচনায় কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালকের ক্রয়ে নয়ছয়

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

২০২০ সাল, সারা বিশ্বকে গ্রাস করল ভয়ঙ্কর করোনাভাইরাস। মহামারি করোনায় থমকে যায় গোটা বিশ্ব। অদৃশ্য ভাইরাসের কাছে অসহায় মানুষ! তা প্রমাণ হলো বিজ্ঞানের এমন সময়েও। বিপর্যস্ত সমস্ত জনপদ। লাশের ভারে ভারী আকাশ-বাতাস। বিপর্যয় বাংলাদেশেও। সংক্রমণ হচ্ছে, মানুষ মরছে। আর রোগের আতঙ্ক, মৃত্যু, সংক্রমণের দিন এবার শেষ হবে, ভ্যাকসিনও প্রায় তৈরি, এই আশা নিয়ে শুরু হলো ২০২১। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে টিকা ক্রয়ে চুক্তিও হয়। অগ্রিম টাকাও দেয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী কিছু টিকাও পায় বাংলাদেশ। কিন্তু বিধি বাম, চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে টিকা রফতানি বন্ধের নাম করে বাংলাদেশকে টিকা প্রদান বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। বছরব্যাপী তাই দেশের মানুষের কাছে বেঈমান হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় ভারত।

এরপর বন্ধুরাষ্ট্র চীন টিকা প্রদান করে সহায়তা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নেতৃত্বে গঠিত কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে বিনামূল্যে এখন পর্যন্ত ৫ কোটির বেশি টিকা পায় বাংলাদেশ। এর বাইরেও জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) মাধ্যমে জোটটি থেকে আরো সাড়ে ১০ কোটি ডোজ টিকা ক্রয়ের উদ্যোগ নেয় সরকার। ইতোমধ্যে যার থেকে ৫ কোটি ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। এর বাইরেও বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক টিকা সংগ্রহ করেছে। ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশের অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ইতোমধ্যে দেশব্যাপী টিকার বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিমাসে ১ কোটি টিকা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১২ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন প্রায় ৭ কোটি ৫৮ লাখ এবং দুই ডোজ পেয়েছেন ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৮২ হাজার মানুষ। সব মিলিয়ে দেশের ৪৪ শতাংশের বেশি মানুষ অন্তত এক ডোজ টিকা পেয়েছেন, দুই ডোজ পেয়েছেন ৩১ শতাংশের বেশি নাগরিক। বর্তমানে মজুদ আছে সাড়ে ৯ কোটির বেশি ডোজ টিকা।

সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ হওয়ায় তাই মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দেখা দিয়েছে। যার সাফল্য স্বরূপ করোনায় বিশ্ব যখন বিপর্যস্ত বাংলাদেশ তখন বিশ্ববাসীর প্রশংসা পাচ্ছে। সাউথইস্ট এশিয়াতে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ প্রথম হয়েছে। ব্লুমবার্গও প্রশংসা করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ইতোমধ্যে ৩১ কোটি টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে বুস্টার ডোজসহ মোট ২৮ কোটি টিকার প্রয়োজন হবে। কাজেই বুস্টার ডোজসহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেও আরো ৩ কোটি হাতে থাকবে। জাহিদ মালেক বলেন, স্কুল পর্যায়সহ বস্তিতেও টিকা কার্যক্রম চলছে। দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে টিকা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

আশা করছি, আগামী মে-জুনের মধ্যেই আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হব। তিনি বলেন, ১২০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন করা হয়েছে। ফিল্ড হাসপাতাল করা হয়েছে। হাসপাতাল বেড বাড়ানো হয়েছে। দেশে করোনার সময় কোথাও ওষুধ বা অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দেয়নি। সঠিক চিকিৎসা গাইডলাইন ছিল বলেই করোনা এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সামনে ওমিক্রনে আবার চাপ বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে শুধু ভ্যাকসিন ওমিক্রন ঠেকাবে না। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি যথার্থ নিয়মে মানতে হবে। তাহলেই ওমিক্রন ছড়াবে না। ওমিক্রন মোকাবিলায় সবাইকে মাস্ক পরারও আহ্বান জানান জাহিদ মালেক। বছরব্যাপী করোনা নিয়ন্ত্রণে সাফল্য পেলেও বছরের শেষভাগে এসে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন।

এপ্রিল-মে মাস। সারাদেশে ভয়ঙ্করভাবে আছড়ে পড়ে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। করোনার ভারতীয় সংক্রমণ (ডেলটা) জুলাইতে এসে দেশকে বিপর্যস্ত করে তোলে। এমন আকার ধারণ করে যে, অন্য চিকিৎসা বাদ দিয়ে সব হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা চালু করতে হয়। এমনকি কয়েক হাজার বেডের বিশেষ হাসপাতাল তৈরি করেও রোগী সামাল দেয়া সম্ভব হচ্ছিল না। হু হু করে শনাক্ত ও মৃত্যু বাড়ছিল। অক্সিজেন সঙ্কটে দেশে হাহাকার তৈরি হয়। শয্যার অভাবে অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যাচ্ছিলেন বহু মানুষ। রোগীর চাপে পুরো দেশই যেন একটি হাসপাতালে পরিণত হয়। এমনকি বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুরও অভিযোগ উঠে আসছিল দিক দিক থেকে। কার্যত ভাইরাসের সামনে বেহাল হয়ে পড়েছিল চিকিৎসা ব্যবস্থা।

তবে অজানা মহামারি সামলাতে স্বাস্থ্য খাতের কিছু দুর্বলতা চোখে পড়লেও করোনা প্রতিরোধে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ স্বাস্থ্য খাতের সবাই যেন ছিল অদম্য। জীবনবাজি রেখে আক্রান্তদের সেবা দিয়েছেন। মৃতদের দাফন পর্যন্ত করেছেন তারাই। মহামারির বিপদ সময়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা যে সেবা দিয়েছেন, নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন। আর তাই বছরব্যাপী সাধারণ মানুষের প্রদীপ হয়ে জ্বলছে স্বাস্থ্য খাত। এছাড়া নতুন স্বাস্থ্য মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশীদ আলমের দক্ষ নেতৃত্বে করোনা ব্যবস্থ’াপনায় শৃঙ্খলা ফেরায় মহামারি নিয়ন্ত্রণে সাফল্য দেখায় বাংলাদেশ। একই সঙ্গে চীনের সহায়তা এবং কোভ্যাক্সের মাধ্যমে দেশব্যাপী ভ্যাকসিন ব্যবস্থা জোরদার করাও সাফল্যের অন্যতম কারণ ছিল। প্রাপ্তবয়স্ক থেকে শুরু করে স্কুল শিক্ষার্থীদেরও ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে। যে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং পুরো স্বাস্থ্য খাতের প্রশংসা করেছেন। আর বছরের শেষভাগে এসে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম খোঁজ মেলা করোনার ওমিক্রন স্ট্রেন। এখন এই ভ্যারিয়েন্টই নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। তবে ভ্যাকসিনের প্রতিরোধ ও মানুষের সচেতনতা এই ভাইরাস-আতঙ্ককে জয় করবেই, এইটুকুই প্রত্যাশা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

এদিকে অজানা মহামারি করোনা নিয়ন্ত্রণে সাফল্য পেলেও বছরব্যাপী আলোচনায় ছিল স্বাস্থ্য খাতের কেনা-কাটার একমাত্র স্থান কেন্দ্রীয় ওষুধাগার। শুধু কেনাকাটায়ই নয়; করোনা আক্রান্ত হয়েও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরস ডিপো (সিএমএসডি) পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামান বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন। এছাড়া সিন্ডিকেট তৈরি করে মাছ ব্যবসায়ী, মোবাইল ব্যবসায়ী, গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের ধরে এনে স্বাস্থ্য খাতের সংবেদনশীল কাজের কার্যাদেশ দিয়ে শত শত কোটি টাকার বাণিজ্য করেছেন।

সূত্র মতে, আবু হেনা মোরশেদ জামান সিএমএসডিতে দায়িত্ব নিয়েই সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বছরব্যাপী কেনাকাটায় একক কর্তৃত্ব দেখিয়েছেন তিনি। তবে সবচেয়ে আলোচিত ছিল সিএমএসডির ক্রয়কৃত কম্পিউটার ও ল্যাপটপ না পেয়েই সিন্ডিকেটের সহায়তায় ৫৯ কোটি ৫০ লাখ ৯ হাজার ৫০০ টাকা প্রদাণ। সিএমএসডি’র মালামাল গ্রহণ শাখার ইনচার্জ গিয়াস উদ্দিন মোল্লা বাধ্য করিয়ে ‘সার্ভে বোর্ড কর্তৃক গৃহীত মালামাল বুঝিয়া পাইলাম’ মর্মে স্বাক্ষরও করিয়ে নেন আবু হেনা মোরশেদ জামান। অথচ করোনার শুরুর দিকে ২০২০ সালে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও থমকে গিয়েছিল। মহামারিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল মানুষ।

সরকারি দু’একটি হাসপাতাল ছাড়া অধিকাংশ হাসপাতাল রোগী ভর্তিতেও ছিল অপারগ। চিকিৎসক-নার্সসহ ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রীর অভাবে রোগীর সেবা বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। আবার সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়া সেবা দিতে গিয়ে অনেক ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা চিকিৎসক-নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিছু ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা ইন্তেকালও করেছেন। দেশের সেই ক্রান্তিকালে করোনা থেকে বাঁচতে সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরস ডিপো (সিএমএসডি) তৎকালীন পরিচালক মরহুম ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদউল্লাহের জরুরি পদক্ষেপ ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের দিক নির্দেশনায় দ্রুত সারাদেশের হাসপাতাল ও ফ্রন্টলাইনারদের কাছে করোনা সুরক্ষাসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়। দেশের ক্রান্তিলগ্নে অজানা এই মাহামারি থেকে বাঁচাতে জরুরি অবস্থার মধ্যেও সুরক্ষাসামগ্রী সরবরাহকারীদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন মো. শহিদউল্লাহ। দেশও করোনা মহামারির প্রথম ধাপ দ্রুত মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়।

ওই সময়ে আন্তর্জাতিক সব রকম যোগাযোগ ও শিপমেন্ট বন্ধসহ আমদানি পণ্যের যোগানে স্বল্পতা এবং দেশের সমস্ত কলকারখানাও বন্ধ ছিল। এর মধ্যেও সরবরাহকারীরাও শুধু ব্যবসায়িক স্বার্থেই নয়; দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে করোনার সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই, মাস্ক, গগলস, পিসিআর মেশিন, পিসিআর কিটস ইত্যাদি) সরবরাহ করে দেশ ও দেশের চিকিৎসকদের পাশে ছিলেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেউ কেউ ব্যাংক ঋণ ও ধার-দেনা করে এসব সরবরাহ করেছেন। দীর্ঘ দেড় বছর পার হলেও সিএমএসডি’র সদ্য বিদায়ী পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামানের একগুয়েমিতে সরবরাহকৃত সুরক্ষাসামগ্রীর বিল না পাওয়াও ছিল বছরজুড়ে স্বাস্থ্যখাতের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। এতে বিপাকে পড়েছেন প্রায় শতাধিক ঠিকাদার। কেউ কেউ ঋণে জর্জরিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

ওই সময়ের ১৯৬টি প্যাকেজের প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার মালামাল সরবরাহ করে প্রায় দুই বছর বিলের জন্য বিভিন্ন দফতরে ঘুরছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সরকরারকে দেয়া করোনা সামগ্রীর উপহারের বিলও দুই বছরে পাননি সরবরাহকারী। সরবরাহকারীদের বিল পাওয়া নিয়ে সিএমএসডি’র বর্তমান পরিচালক মোখলেছুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করেছে। আশা করছি দ্রুতই সিদ্ধান্ত আসবে।

যদিও এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশীদ আলম ইনকিলাবকে বলেছেন, দেশের ক্রান্তিকালে পণ্যসামগ্রী দিয়েছেন যেসব সরবরাহকারীরা তারা অবশ্যই এসব বিল পাবেন। আমি দায়িত্ব নিয়ে চেষ্টা করেছি তাদের বিল পাওয়ার বিষয়ে। একটি বিল পাসও হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন পরিচালকের কারণে সরবরাহকারীরা বিল পাননি। বর্তমানে মন্ত্রণালয় একটি কমিটি করেছে। সরবরাহকারীরা যাতে দ্রুত বিল পান সে বিষয়ে কমিটি কাজ করছে।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ মনে করেন, স্বাস্থ্য খাতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কাটাতে হবে। এই জটিলতার কারণে অনেক কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। এই জায়গাগুলোই স্বাস্থ্য খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক ও বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্যবিদ প্রফেসর ডা. বে-নজীর আহমেদের মতে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা এখন আধুনিকতম জায়গায় পাল্লা দিচ্ছি। এই করোনার সময় তা দৃশ্যমান হয়েছে। তিনি বলেন, আগে বাইরের দেশে কোনো ওষুধ অনুমোদন পেলে আমাদের দেশে তা অনুমোদন পেতে ৫ বছরের মতো সময় লাগত। কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা নেই। এই করোনা মহামারির সময় আমরা দেখেছি যেদিন যুক্তরাজ্যে কোনো ওষুধ অনুমোদন পাচ্ছে তারপরের দিনই সেই ওষুধের অনুমোদন দিচ্ছে বাংলাদেশ। যা অবশ্যই বিশাল ব্যাপার। তবে স্বাস্থ্যসেবা খাতে এখন বাণিজ্যমুখী মনোভাব বেশি প্রকট। এই বাণিজ্যমুখী ভাবটাই বদলাতে হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কল্যাণমুখী করতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতেই যেন সেখানকার ৮০ শতাংশ মানুষকে সেবা দেয়া সম্ভব হয় সেই দিকটা বিবেচনায় নিয়ে সেখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতা বা সমস্যাগুলোর কথা বলা মানে সরকারের সমালোচনা করা- এটি ঠিক নয়। একক কারো ভুলের দায়িত্ব সরকারের ওপর চাপিয়ে দেয়া ঠিক নয়। ঘাটতির কথা যেমন বলতে হবে তেমনি সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতাও করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ