Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বরিশাল সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুটি দুর্নীতির মামলার সুপারিশ

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:১১ পিএম

বরিশালের বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেত্রী রেহানা বেগমের বিরুদ্ধে সরকারি বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে একই সময়ে দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে গত এক যুগেরও বেশী সময় ধরে বেতন ভাতা উত্তোলন করায় দুটি পৃথক মামলা দায়েরের সুপারিশ পাঠিয়েছে দুদকের বরিশাল সমন্বিত কার্যালয়। কোন প্রকারের সরকারি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ না করলেও নিজের বাড়ির সাথে কাগাশুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবত রেহানা বেগম বিদ্যালয়টির আইসিটি বিভাগের সহকারি শিক্ষকপদে চাকুরি নেন। তিনি এখনও ওই বিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের সহকারি শিক্ষক পদে বহাল আছেন। তবে তাকে কোন ক্লাস নিতে হয়না। কম্পিউটার শিক্ষকরাই আইসিটি বিভাগের ক্লাস নেন। তার দায়িত্ব হল মাস শেষে সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলন করা।

ইতোমধ্যে সরকার উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ঘোষণা দিলে রেহানা বেগম ২০০৮ সনের ১৭ নভেম্বর এক বছরের জন্য বিদ্যালয়টি থেকে ছুটি নেন। ২০০৯ সনে তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে জয়লাভ করেন। এরপর তিনি ২০০৮ সনের ২০ নভেম্বর থেকে ২০১১ সনের ২৭ জুলাই পর্যন্ত বিনা বেতনে ছুটি মঞ্জুর করালেও ওই সময়কালে ২ লক্ষ ১৪ হাজার ৫৯৬ টাকা বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন। একই সময়কালে তিনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদের সরকারি ভাতাও গ্রহণ করেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সনের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে তিনি সরকারি বরাদ্দের বেতন ভাতাও উত্তোলন। রেহানার বেগমের এভাবে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলনের খবর বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হলেও সরকারের আশীর্বাদ থাকায় তিনি এসব খবরকে আদৌ পাত্তা দেননি।

সম্প্রতি এক ব্যক্তি জনস্বার্থে বিষয়টি লিখিতভাবে বরিশাল দুদক কার্যালয়কে অবহিত করলে কেন্দ্রীয় দফতরে অনুমতি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে দুদক কর্মকর্তারা জানতে পারেন রেহানা বেগম ২০১১ সন থেকে ২০১৯ সন পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে ১৯ লক্ষ ২০ হাজার ৪৬৮ টাকা উত্তোলন করেছেন। আবার তিনি বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিসাবে ১৯লক্ষ ৬৭ হাজার ১৭৩ টাকা উত্তোলন করেছেন। প্রাথমিক তদন্ত শেষে দুদকের সহকারি পরিচালক আবদুল লতিফ হাওলাদার প্রতিবেদন প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়ে রেহানা বেগম সরকারি বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে অনৈতিকভাবে বেতন-ভাতা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়েরের সুপারিশ করা হয়েছে।

তবে দুদক তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা শুরু করলে তিনি গত এক বছর যাবত উপজেলা পরিষদ থেকে ভাতা উত্তোলন করা থেকে বিরত রয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ