Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নাজিরপুরে বাড়ছে সহিংসতা

নাজিরপুর (পিরোজপুর)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:০০ পিএম | আপডেট : ৬:১৫ পিএম, ৮ জানুয়ারি, ২০২২

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পিরোজপুরের নাজিরপুরে ৩ নং দেউলবাড়ী দোবরা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাদখালী গ্রামে ঘটছে একের পর এক সহিংসতা ঘটনা। সবশেষ ৮ জানুয়ারী সকাল ১০ টায় বিরোধীয় জমিতে ধান লাগানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাদখালী এলাকায় শাহাবুদ্দিন খা গ্রæপ প্রধান সহ ইয়াকুব আলী, মিজান খান, রাসেল খান, শাহজাহান খান, দেশিও অস্ত্র সস্ত্র সহ ঐ একই গ্রামের নয়ন হালদার এর গ্রæপের শুভ হালদার, বিপুল হালদার, বিশ্বনাথ হালদার, বিনয় হালদার, নিবাশ হালদার, অজয় হালদার হালদার দের ওপর হামলা চালায় ঐ সন্ত্রাসীরা। এসময় প্রকাশ্যে দেশিও অস্ত্র নিয়ে হামলা করে এবং বাড়ি ঘর ভাংচুর চালায়।
নাজিরপুর থানার বৈঠাকাটার পুলিশ ফারি ইনচার্জ শেখ আব্দুল আউয়াল কবির ও তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নয়ন হালদার গ্রæপের লোকজনদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে দেশিয় রাম দা ও লাঠি সোটা উদ্ধার করে নিশ্চিত করেণ।
এ ঘটনায় নাজিরপুর থানায় উভয় পক্ষই বেশ কয়েকবার হাজির হয়ে শালিশ মিসাংসার চেষ্টা করা হলেও কোন সুরহা হয় নাই। জানা যায় দুই দিন পূর্বেও নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহিদুল ইসলাম ১১ একর ৪২ শতাংশ জমির উপরে ১৪৪ ধারা জারি করেণ কিন্তু শাহাবুদ্দিন খাগ্রæপের প্রধান তার দল বল নিয়ে উপেক্ষা করে আইন অমান্য করে তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে।
শুখরঞ্জন হালদার বলেন, 'সব সময় শাহাবুদ্দিনের গ্রæপের ১০-১২ জন ছেলে এসে আমাদের বাড়িতে অত্যাচার করতো। আমাদেরকে হত্যা করার হুমকি দেয় আমরা ভয়ে কোথাও বের হতে পারি না। আমরা যেন এর সঠিক বিচার পাই।'

স্থানীয়রা বলেন, এরকম অবস্থায় তো সব সময়ই ভয় লাগে। কখন কোথায় কী হয় বুঝা মুশকিল। এ ঘটনাগুলোর যদি সঠিক বিচার হতো তাহলে তো এই ঘটনা বার-বার ঘটতো না।
তবে, অপরাধীদের দলীয় কোন পরিচয় নেই। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এমন ঘটনা ঘটছে এখানকার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার মূল কারণ জমি দখল নিয়ে।

এ বিষয়ে নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহিদুল ইসলাম বলেন ধান লাগানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষই মারমুখি অবস্থানে ছিল পুলিশ সেখানে গিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে বর্তমানে দুই পক্ষকেই থানায় আমরা ডেকেছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ