পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও) নতুন বছরের শুরুতেই করোনাভাইরাস নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছিল। সংস্থার প্রধান টেডরস আধানম ঘেব্রেইয়েসুস জানিয়েছিলেন, চলতি বছরেই হয়তো শেষ হতে পারে অতিমারী। তবে সে জন্যে সব দেশের একজোট হয়ে কাজ করাটা জরুরি। করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনই হয়তো সেই শেষের শুরু বলে আশা প্রকাশও করেন তিনি।
কিন্তু গত বুধবার ডবিøউএইচও ফের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। প্রমাণিত সত্য না হলেও ওমিক্রনে আক্রান্তদের পরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, ডেলটার চেয়ে অনেক বেশি সংক্রামক। তারপরও ওমিক্রন হয়তো ততটা ভয়ঙ্কর নয়।
গত বুধবার ডবিøউএইচও’র ইউরোপের কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্মলউড বলছেন, ‘বিশ্ব জুড়ে ক্রমেই ওমিক্রনের সংক্রমন বাড়ছে। দ্রæত সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে আরও বহু বার মিউটেট করে জন্ম নিতেই পারে করোনার আরও কোনও ভ্যারিয়েন্ট।’
গত মঙ্গলবার যেমন ফ্রান্সের মেডিটেরানি ইনফেকশন নামে এক সংস্থার গবেষকরা জানিয়েছিলেন, ‘আইএইচইউ’ নামে তারা একটি নতুন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পেয়েছেন। এই নতুন ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনে অন্তত ৪৬টি মিউটেশন হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তারা। কোভিডের চলতি টিকাগুলো এই ভ্যারিয়েন্টকে ঠেকাতে ব্যর্থ হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ফরাসি গবেষকরা।
আইএইচইউ-এর ইনসিডেন্ট ম্যানেজার আবদি মাহমুদ যদিও এখনই নতুন এই ভ্যারিয়েন্টকে ততখানি আমল দিতে নারাজ। গত মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সাংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ভাইরাসের এই রূপটির প্রথম খোঁজ মিলেছিল গত বছরের নভেম্বরে। এই ভ্যারিয়েন্টটি তেমন বিপজ্জনক হলে ফ্রান্স এতদিনে টের পেত। সেটা কিন্তু হয়নি। তবু আমরা নজর রাখছি।’
তিনি আরও বলেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এখনও বিস্তর গবেষণা বাকি। তবে প্রাথমিক গবেষণালব্ধ ফলের উপর ভিত্তি করে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখা যাচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ওমিক্রন ফুসফুসের পরিবর্তে শ্বাসনালীর উপরের অংশকে প্রভাবিত করে। তবে যারা টিকা নেননি, বয়স্ক বা যাদের কোÐমর্বিডিটি রয়েছে, তাদের সাবধান থাকতেই হবে। ভাইরাসের রূপ কিন্তু ক্ষণে ক্ষণে বদলাচ্ছে।
করোনার একের পর এক নতুন প্রজাতি সম্পর্কে ইউরোপে ডবিøউএইচও’র কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্মলউড জানান, এখন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমেছে। তবে ডেলটার তুলনায় ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। এই পরিস্থিতিতেই নতুন করে আরও মারাত্মক কোনও ভ্যারিয়েন্ট জন্ম নিতে পারে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, নিউজ ১৮।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।