পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সমান অধিকার নিশ্চিত না করে বহু বিবাহের আইনি প্রক্রিয়া সংবিধানের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে নাÑ এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বহু বিবাহের নীতিমালা তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে নাÑ রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
রিটের শুনানি শেষে গতকাল বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট নিশাত ফারজানা নিপা, অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল ও অ্যাডভোকেট তানজিলা রহমান।
এর আগে বহু বিবাহের অনুমতি সংক্রান্ত মুসলিম পারিবারিক আইনের ৬ ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এ রিট ফাইল করেন। রিটে বহুবিবাহের অনুমতি সংক্রান্ত মুসলিম পারিবারিক আইনের ৬ ধারা অসাংবিধানিক ঘোষণার আবেদন জানানো হয়েছে।
রিটে বলা হয়, ইসলাম ধর্মে এক স্ত্রী থাকাবস্থায় পুরুষের একাধিক বিয়ের বিধান রয়েছে। একসঙ্গে চারজন পর্যন্ত স্ত্রী রাখার অনুমতি থাকলেও পবিত্র কুরআনে সকল স্ত্রীর সমান অধিকার নিশ্চিতের জন্য জোর তাগিদ দেয়া হয়েছে। কিন্তু ১৯৬১ মুসলিম পারিবারিক আইনের ৬ ধারায় বহু বিবাহের যে বিধান করা হয়েছে তাতে সকল স্ত্রীর সমান অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি উপেক্ষিত। যদিও স্বামীর বহুবিবাহের ফলে বর্তমান স্ত্রীর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি, তথাপি সালিশি কাউন্সিলকে অনুমতি দেয়ার সর্বময় ক্ষমতা দেয়া হয়েছে যা বর্তমান স্ত্রীর সাংবিধানিক অধিকারকে ক্ষুন্ন করে।
আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, মুসলিম পারিবারিক আইনের বিষয়ে পারিবারিক আদালত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, কিন্তু এখানে বহুবিবাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু কেবল সালিশি কাউন্সিলের হাতে দেয়া হয়েছে, যা নারীর মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। উন্নত মুসলিম দেশে বহু বিবাহের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ, আর্থিক সক্ষমতার সনদ ইত্যাদি দাখিল করে বর্তমান স্ত্রীর বক্তব্য শুনানি করে আদালতের অনুমতি নিতে হয়। তিনি বলেন, আমাদের দেশে সালিশি কাউন্সিলের সাক্ষ্য-প্রমাণ নেয়ার আইনগত সুযোগ নেই। বহু বিবাহের বর্তমান যে বিধান রয়েছে তা সংশোধন করে আরও কঠোর বিধান করা উচিত। রিটে আইন সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক সচিব এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।