Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘বুল্লি বাই’ অ্যাপ: মোদির সমালোচনা করে রোষের মুখে জাভেদ আখতার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:৩৩ পিএম | আপডেট : ১০:৪৬ পিএম, ৬ জানুয়ারি, ২০২২

মুসলিম নারীদের বিক্রি করার অ্যাপ ‘বুল্লি বাই’ নিয়ে ভারতে তোলপাড় শুরু হলেও নীরব রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ বিষয়ে তার সমালোচনা করে রোষের মুখে পড়লেন প্রখ্যাত কবি গীতিকার জাভেদ আখতার।

এর আগেও নানা বিষয়ে সরকারের সমালোচনা করে বিতর্কে জড়িয়েছেন জাভেদ আখতার ও তার পরিবার। এবারেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। সরকারি বিরোধী অবস্থানের জন্য জাভেদ আখতারের নাম বারবার উঠে আসে শীর্ষে। বর্তমানে ‘বুল্লি বাই’ ইস্যুতে তোলপাড় গোটা ভারত। এই অ্যাপে মোদির সমালাচনা করা মুসলিম নারীদের নিলামে তোলা হয়। ব্যবহার করা হয় তাদের ছবি। আর এই নিয়েই প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাভেদ আখতার।

শুধু তাই নয় সোশ্যাল মিডিয়ায় হওয়া ট্রোলিংয়ের বিরুদ্ধেও কড়া জবাব দিয়েছেন তিনি। এবং এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকেও নিশানা করেছেন। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কেন কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছেন না তা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন জাভেদ আখতার। সঙ্গে গত মাসে হরিদ্বারের ধর্ম সংসদ প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি। সেই সম্মেলনে মুসলিম বিরোধী মন্তব্য পেশ করেছিলেন সাধু-সন্তরা। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে আরও বেশি রোষের মুখে পড়েন জাভেদ আখতার।

এবার সমস্যার সৃষ্টি হয় এক হিন্দুত্ববাদীর করা টুইটকে ঘিরে। সেই টুইটে লেখা ছিল জাভেদ আখতারের দাদা ফজলে হক ১৮৫৫ সালে হিন্দুদের হনুমান মন্দির ভেঙে ফেলার নির্দেশ জারি করেছিলেন। আর এই টুইট জ্বলন্ত আগুনের মত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। এই টুইটের প্রেক্ষিতে শাবানা আজমি সোমবার জবাব দেন। লেখেন, ‘ফজলে হক একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী, তার কালাপানির সাজা হয়েছিল এবং তিনি আন্দামানেই মৃত্যুবরণ করেন। সেখানে একজন শহীদ হিসাবে তার সমাধিও রয়েছে।’ শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি ওই ব্যাক্তিকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও লেখেন, এর থেকেও বেশি তথ্য জানতে হলে ‘বাগি হিন্দুস্থান’ পড়তে পারেন।

শাবানার পাশাপাশি প্রতিবাদ করেছেন জাভেদ আখতারও। পূর্বপুরুষের নামে এমন অভিযোগ তিনি একেবারে নস্যাৎ করে দিয়ে লিখেছেন ‘আমি যখন এমন এক বিষয়ে গলা চড়ালাম যেখানে মুসলিম মহিলাদের নিলামে তোলা হয় টাকার বিনিময়ে, আর যারা তা করেন ধর্মান্ধ হয়ে তারাই এমন অভিযোগ আসার পরেই আমার পূর্বপুরুষদের সম্পর্কে খারাপ উক্তি ও তথ্য ছড়াচ্ছে। এমন একজনকে নিয়ে বলা হচ্ছে যিনি একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন এবং যিনি কালাপানির সাজা কাটিয়েছিলেন ও সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। এমন এক মানুষকে নিয়ে যারা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন তাদের কি বলা উচিত?’।

ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে ওই অ্যাপ ব্লক করা হয়েছে। তবুও যেন জল্পনা থামছে না। তা মুহুর্মুহু বাড়ছে। শবানা আজমি ও জাভেদ আখতারের পাশাপাশি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফারহান আখতার কন্যা জোয়া আখতার ছাড়াও বলিউডের বহু ব্যাক্তিত্বরা। সূত্র: ট্রিবিউন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ