Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাতকানিয়ায় সিএনজি ড্রাইভারের গলায়ও ঝুলছে সাংবাদিকতার কার্ড!

সাতকানিয়া উপজেলা সংবাদ দাতা | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০২২, ৫:০২ পিএম

সাতকানিয়া -লোহাগাড়ায় সিএনজি আর ছারঁপোকা গাড়ী চালকদের গলায়ও ঝুলছে সাংবাদিকতার কার্ড

সমগ্র বাংলাদেশে এমনিতেই জনশ্রুতি রয়েছে সাতকানিয়া লোহাগাড়ার অধিকাংশ সাংবাদিকরা এসএসসি পর্যন্তও লেখা-পড়া না করে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত আবার অনেকেই স্কুলের গন্ডি না পেরিয়ে আন্ডার গ্রাউন্ড পত্রিকার পরিচয়পত্র ব্যবহার করে চালাচ্ছে সাংবাদিকতা।
আবার অনেকেই সিএনজি বা চায়ের দোকান ও জমি বিক্রি করে ঢাকায় গিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কোন একটা স্যাটেলাইট চ্যানেলের জেলা বা উপজেলা প্রতিনিধির পরিচয়পত্র হাতিয়ে নিচ্ছে।

ফলে গনমাধ্যমের অফিসে দেয়া টাকা তোলতে সেইসব কতিপয় সাংবাদিকদের আশ্রয় নিতে হচ্ছে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে।

উপরোক্ত কর্মকান্ডের জ্বালায় অতিষ্ঠ সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার শিক্ষিত ও মুলধারার সাংবাদিক সমাজ।
এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিকে আরো অসহনীয় করে তুলেছে চট্টগ্রামের আনোয়ারার কথিত সাংবাদিক-নামধারী হান্নানের `চট্টগ্রাম সংবাদ`নামক পরিচয়পত্র গুলি।

তার এই পরিচয়পত্র কোন অফিস আদালতে বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের বা জনকল্যানমুখী কর্মকান্ডে ব্যবহার না হলেও নিয়মিত গলায় ঝুলিয়ে বেপরোয়া দাপটে রাজপথ কাঁপাচ্ছে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার অধিকাংশ সিএনজি চালকরা।

৭বছর থেকে ৬০বছর বয়সী চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের প্রায় চালকের গলায় এখন হান্নানের দেয়া সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র।

পুলিশ প্রশাসনকে মূলত বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে কথিত সাংবাদিক “চট্টগ্রাম সংবাদ”নাম দিয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায়ে ব্যস্ত।

তবে গোপনসুত্রে জানা গেলো -কিছু পুলিশ কর্মকর্তা হান্নানকে চট্টগ্রাম কক্সবাজারের মহাসড়কে বেপরোয়া দাপট চালাতে সহযোগিতা করে আসছে।

আর অসাধু সিএনজি চালকরা কথিত সাংবাদিক হান্নান থেকে মাসিক মাসোহারার বিনিময়ে এই “চট্টগ্রাম সংবাদ”নামে পরিচয়পত্র কিনে রাজপথে দাঁপিয়ে গাড়ী চালাচ্ছে।

বাস-ড্রাইভার -সিএনজি চালক-হেলপার স্কুল পড়োয়া লোকজন সাবেক চায়ের দোকানদার ফুটপাতে পেপার বিক্রেতা যখন বিভিন্ন গণমাধ্যমের বোম্ব হাতে নিয়ে কোন অনুষ্ঠানে আমার সামনে বসে বা কথা বলে তখন লজ্জায় আমার বুক ফেটে যায়।

আমি আসলে এই পেশার মান বাড়ুক সেটাই চাই।

আপনারা দেখেন একজন আইনজীবি বা একজন ডাক্তার যেভাবে তার ভিজিটিং কার্ডে ডিগ্রী লিখে সেরকম যদি রাষ্ট্রের চতুর্থস্তম্ভ সাতকানিয়া -লোহাগাড়ার সাংবাদিকরা তাদের পকেট থেকে দাপুটে বের করা ভিজিটিং কার্ডে শিক্ষাগত-যোগ্যতার পরিমাণটা লিখে আপনি বুঝতেন কী এক্টা অবস্থা- আমরা কোন দেশে আছি বা কোন পেশায় আছি।

বা বর্তমানে যারা কর্মরত তাদের অনেকের অতীত ইতিহাসটা কী!!
বা কোন লেভেল থেকে তাদের আসা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ