রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ল²ীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়ায় আলোচিত যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় ৭ আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। এ মামলায় আরও ১১ জনকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত। এ সময় দন্ডপ্রাপ্ত ইসমাইল ও আবুল কাশেম মেম্বার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আজিজ মেম্বার ও তার ছেলে সবুজ, বিল্লাল হোসেন বিপ্লব, ইব্রাহিম, মানিকসহ দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক রয়েছে।
জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ৩০২/১০৯ ধারায় অপরাধী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
নিহত আনোয়ার হোসেন দত্তপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত আবদুল বাতেনের পুত্র এবং প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন শামীমের ছোট ভাই। তিনি ওই ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার হোসেন ২০১১ সালের ৪ জুন দত্তপাড়া বাজারের তার ভাইয়ের নির্বাচনী অফিসে বসেছিলেন। এ সময় ঘটনার সাথে জড়িতরা নির্বাচনী অফিসে হামলা করে আনোয়ারের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরদিন তার বড়ভাই মো. আশেক ই এলাহী ওরফে বাবুল বাদি হয়ে সদর থানায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি সিআইডি তদন্ত করে অভিযুক্ত ১৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি আদালতে চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে ১৪ জনের স্বাক্ষী গ্রহণের পর আদালত ৭ জনের যাবজ্জীবন ও ১১ জন আসামিকে খালাস দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।