Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৫ম ধাপ নির্বাচনে প্রচার প্রচারনায় মুখরিত গোপালগঞ্জ সদর

উন্মুক্ত নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ সেলিম এমপিকে অভিনন্দন

গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০২২, ৩:১২ পিএম

দলীয় মনোনয় ছাড়া গোপালগঞ্জ সদরে ৫ম ধাপ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উন্মুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়ামের সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ওই উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ। দলীয় কোন্দল মুক্ত ভোটের লড়াইয়ে নির্বাচনের শেষ মুহুর্তে প্রার্থী ও সমর্থকদের প্রচার প্রচারনায় মুখরিত সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন। এর মধ্যে ৯ নং সাতপাড় ইউনিয়নে প্রচার প্রচারনায় তুঙ্গে রয়েছে বিশিষ্ট্য সমাজ সেবক যুব সমাজের আস্থাভাজন বাবু পনব বিশ^াস বাপী।
নতুন বছর ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ৫ম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং গোপালগঞ্জ ২ আসনের সাংসদ ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম নির্বাচন উন্মুক্ত ঘোষণা করেছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সাতপাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবু প্রনব বিশ^াস বাপী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও গোপালগঞ্জের অবিভাবক জননেতা শেখ ফজলুল করিম এমপি’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, দলীয় মনোনয়ন ছাড়া নির্বাচনে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে চমৎকার সমন্বয় তৈরী হয়েছে। অনেক দিন পর সাধারন জনগণ ভোট দিয়ে তাদের কাঙ্খিত প্রার্থীকে নির্বাচিত করার সুযোগ পেয়েছে। গোপালগঞ্জে আমরা শতভাগ আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। সেকারণে আমাদের মান্যবর এমপি মহোদয় মনে করেন প্রত্যেকটি নেতা কর্মীর নির্বাচন করার অধিকার রয়েছে। নির্বাচন উমন্মুক্ত করায় এখানে বর্তমান প্রজন্মের মধ্য থেকেও দলের নতুন নতুন কর্মী সৃষ্টি হবে। এতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সাধারন মানুষ স্ব উদ্যোগে দলের কাজ আরো ত্বরান্বিত করবে। আর এতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক শক্তি আরো বৃদ্ধি পাবে। এমপি মহোদয়ের মহতি উদ্যোগের কারণে এ নির্বাচনে আমারা অনেকেই পার্থী হতে পেরেছি। নির্বাচনে হার জিত আছে-ই। তারপরেও জনগণ যাকে বেছে নিবে তিনিই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। আর এবারের নির্বাচনে জনগণের প্রতি আমার শতভাগ আস্থা রয়েছে। আমি আশাবাদী জনগণ স্বস্ফুর্তভাবে আমাকে চশ্মা প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। এব্যাপারে সাতপাড় ইউনিয়নের তরুন সমাজ সেবক মানব বিশ^াস বলেন, আমরা সাতপাড় ইউনিয়নের বিশ^াস পরিবার। চেয়ারম্যান বাড়ি নামে আমাদের পুরানো ঐতিহ্য রয়েছে। এক সময় আমার ঠাকুর দা স্বর্গীয় সুধীর বিশ^াস একাধারে ৩৮ বছর ধরে চেয়ারম্যান ছিলেন। তখন এ ইউনিয়নের নাম ছিল সাহাপুর ইউনিয়ন। পরবর্তীতে সাহাপুর ও সাতপাড় ভিন্ন হয়ে যায়। আমার ঠাকুরদার পরে আমার স্বর্গীয় কাকা এবং প্রণব বিশ^াসের স্বর্গীয় পিতা পিনাকি বিশ^াস পিন্টু দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান ছিলেন। পরে এলাকার অন্যারা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এবারের নির্বাচনে আমাদের পরিবারের পুরনো ঐতিহ্যকে সামনে রেখে ইউনিয়নবাসীর বিশেষ দাবী অধিকার এবং ভালবাসার কারণে আমরা প্রার্থী হয়েছি। এবং আশা করছি জনগণ বাবু প্রনব বিশ^^াসকে শতভাগ ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। এব্যাপারে বর্তমান চেয়ারম্যান সুজিৎ মন্ডল বলেন, আমি দীর্ঘদিন জণগণের কাজ করে আসছি। সুখে দুখে তাদের পাশে ছিলাম। আশা করছি জনগণ মোটর সাইকেল প্রতীকে ভোট দিয়ে আবারো আমাকে নির্বাচিত করবে। প্রার্থী আরো দুই জন রয়েছে। এরা হলেন, ঘোড়া প্রতীকে ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য অমৃতলাল বিশ^াস এবং আনারস প্রতীকে রয়েছেন একজন গ্রাম্য ডাক্তার রথীন্দ্র নাথ বালা। তবে সাধারন ভোটাররা ধারনা করছেন নির্বাচনে বর্তমান চেয়রম্যান সুজিৎ মন্ডল এবং বাপ্রনয় বিশ^াসের সাথেই দ্বিমূখী লড়াই হবে। আর ৫ জানুয়ারীর এ নির্বাচনকে মাথায় রেখে উৎসব মুখর পরিবেশে বাকী ইউনিয়ন গুলোতেও শেষ মুহুর্তে প্রচার প্রচারনায় ব্যাস্ত সময় পার করছে প্রার্থী কর্মী সমর্থক ও সাধারন ভোটাররা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ