বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ কালাইরাগ সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে নিহত লোকেশ রায় (৩৬) এর মরদেহ সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। রবিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে নিহতের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করবে পুলিশ। লোকেশ রায় কালাইরাগ গ্রামের বিষ্ণু রায়ের পূত্র।
শনিবার (১ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সহযোগিতায় কালাইরাগ সীমান্তের ১২৫১ নম্বর পিলারের পাশে সাদা পাথর এলাকায় লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে মতে, শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে শৈলেন ও লোকেশ কালাইরাগ সাদা পাথর সীমান্তে ভারতের অংশে চলে গিয়েছিলেন। পরে ওই এলাকার ভারতীয় নাগরিকেরা তাঁদের লক্ষ্য করে ছররা গুলি ছোড়েন। এ সময় শৈলেনের গায়ে কয়েকটি ছররা গুলি লাগে। পরে তিনি আহত অবস্থায় বাংলাদেশের ভেতরে চলে এলেও লোকেশ রায় বাড়িতে ফেরেননি। আজ বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কালাইরাগ ১২৫১ নম্বর পিলারের পাশে লোকেশের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকার খবর পায় কোম্পানীগঞ্জ থানা-পুলিশ। পরে বিজিবি সদস্যদের সহায়তায় লোকেশের গুলিবিদ্ধ লাশ পিলারের প্রায় ১০ গজ অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ভূমি থেকে উদ্ধার করা হয়। শৈলেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। লাশ উদ্ধার কাজে থাকা কোম্পানীগঞ্জ থানার এক পুলিশ সদস্য বলেন, নিহত লোকের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে। এলোপাতাড়ি গুলির কারণে নিহত ব্যক্তির কোমরের নিচে ও যৌনাঙ্গে গুলির আঘাতটি গুরুতর।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, যতটুকু জেনেছি ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে লোকেশ রায়ের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে, আগে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে শৈলেন চন্দ্র নামের আরেক বাংলাদেশি যুবক ভারতীয়দের ছোড়া ছররা গুলিতে আহত হয়ে বাংলাদেশের ভূমিতে ফেরত আসেন। একই গ্রামের বাসিন্দা তিনিও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।