Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চার লেনে রূপান্তরিত হচ্ছে সিলেটের কুমারগাও-এয়ারপোর্ট মহাসড়ক

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০২২, ১০:৫৭ এএম

সিলেটের কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়কটি চার লেনে রূপান্তরিত করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। এ জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে একটি প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২৭ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। সড়কটির উন্নয়ন হলে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের সঙ্গে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার সাথে সহজীকরণ হবে যাতায়াত। সেই সাথে যানজটের ভোগান্তি কমবে সিলেটের। একইসঙ্গে, প্রতি বছর ১০ শতাংশ হারে সড়কটির এমডিটি বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাতের তথ্য মতে, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর। পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশীদ বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের সাথে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার যানজট মুক্ত সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে। এছাড়া সিলেটের ভোলাগঞ্জ হতে চলাচলকারী ট্রাক ও অন্যান্য ভারী যানবাহনের জন্য বিকল্প সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে নিরসন হবে সিলেট শহরে যানজট। এদিকে প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা মহাসড়ক। সড়কটি সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে যাতায়াতে প্রধান ও একমাত্র বিকল্প পথ। একইসঙ্গে, সিলেট শহরের যানজট এড়ানোর জন্য বাণিজ্যিক যানবাহনের ডাইভারশন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সড়কটি সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের ছয় কিলোমিটার কুমারগাঁওয়ে শুরু হয়েছে এবং বাদাঘাট দিয়ে অতিবাহিত হয়ে এয়ারপোর্টের নিকটে ওসমানী বিমানবন্দর সড়কের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। বাদাঘাট লিংক রোডসহ সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ৭৮০ কিলোমিটার এবং বিদ্যমান প্রস্থ পাঁচ দশমিক ৫০ মিটার। সড়কটির শেষ প্রান্ত থেকে ৮০০ মিটার দুরে শুরু হয়েছে সিলেট সড়ক, বাংলাদেশের বড় বড় পাথর কোয়ারির সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম এ সড়কটি। ভোলাগঞ্জ হতে পাথর বহনকারী ট্রাকগুলো সিলেট শহরের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করে, তবে নগরীরর কেন্দ্রস্থল আম্বরখানা ইন্টারসেকশনে দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে সময় ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়কটিকে আপগ্রেডেশন করা হলে পাথর বোঝাই ট্রাকগুলো আম্বরখানার দীর্ঘ যানজট এড়িয়ে বাদাঘাট, কুমারগাঁও দিয়ে যাতায়াত করে জাতীয় মহাসড়ক এন-২তে পৌছাঁবে। এতে সিলেট শহরের যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে। প্রকল্প প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়েছে, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর। বর্তমানে বিমানবন্দরটি দুই লেন বিশিষ্ট একমাত্র সংযোগ সড়কের মাধ্যমে সিলেট শহরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। কেপিআই স্থাপনা হিসাবে বিমানবন্দরটির অবশ্যই বিকল্প সংযোগ সড়ক থাকা প্রয়োজন। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এই উদ্দেশ্যও পূরণ হবে। প্রকল্পের মুল কার্যক্রম হিসেবে বলা হয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণ, সড়কের বাধেঁ মাটির কাজ, সয়েল ট্রিটমেন্ট, রিজিড, ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট এবং বাস-বে নির্মাণ। এমনকি নির্মাণ করা হবে ইন্টারসেকশন উন্নয়ন, পিসি গার্ডার সেতু এবং আরসিসি বক্স কালভার্ট ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ