Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ঝিনাইদহে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলসহ আ’লীগ দলীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫ জন আটক

প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজর থেকে বৃহস্পতিবার বিকালে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ফেনসিডিলসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ দলীয় চেয়ারম্যান আবুল কালামসহ ৫ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। এ ঘটনায় মাদক সম্রাট কালামের সন্ত্রাসী বাহিনী ঝিনাইদহ-যশোর সড়ক অবরোধসহ র‌্যাবের উপর চড়াও হলে র‌্যাব ফাঁকা গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়। পরে র‌্যাবের হস্তক্ষেপে ওই সড়কে যান চলাচল শুরু করে। ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক মেজর মনির আহম্মেদ চেয়ারম্যান আবুল কালামসহ ৫ জনকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলসহ আটকের কথা স্বীকার করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারোবাজারের চেয়ারম্যান আবুল কালামের গাড়ি চালক মিঠাপুকুর গ্রামের পুটের ছেলে সুজনকে আটক করে র‌্যাব। সুজনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বারোবাজার রেল লাইনের পাশে রুহুল আমিনের মার্কেটে র‌্যাব অভিযান চালায়। এ সময় র‌্যাব বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলের সন্ধান পায়। খবর পেয়ে বারোবাজারের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কালাম, তার ভাই সালাম ও ফরহাদ ঘটনাস্থলে এসে র‌্যাবের উপর চাপ দিতে থাকে। র‌্যাব চেয়ারম্যানকে প্রথমে চলে যেতে বললে তিনি নিজের ক্ষমতা জাহির করতে থাকেন এবং সন্ত্রাসীদের জড়ো করে সড়ক অবরোধ ও র‌্যাবের উপর হামলা করার চেষ্টা করেন। র‌্যাব এ সময় অবরোধকারীদের উপর মৃদু লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা এ সময় এক রাউন্ড ফাঁকা গুলির শব্দও শুনেছেন বলে জানান। এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ অনেক আগে থেকেই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার নামেই বারোবাজারে মাদকের সর্ববৃহৎ ঘাট চলে। আওয়ামীলীগের টিকিটে জোরজবর দস্তি করে ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার পর তিনি ও তার ভাইয়েরা মাদক ব্যবসায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এর আগে আকাধিকবার পুলিশ ও ডিবির উপর চড়াও হয়েছে আবুল কালাম ও তার ভাইয়েরা। অভিযোগ উঠেছে কালীগঞ্জের এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে চেয়ারম্যান কালাম মাদক সম্রাট থেকে জনপ্রতিনিধি হয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তিনি কোন আইনের তোয়াক্কা না করে রমরমা মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে নিজদলীয় কর্মী আনন্দ মোহন ঘোষকে হত্যা, বোমাবাজীসহ একাধিক মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকালে জানান, র‌্যাবের হাতে বারোবাজারের চেয়ারম্যানসহ বেশ কয়েকজন আটক হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছি। শুনেছি তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে র‌্যাব। ওসি জানান, এ ঘটনায় বারোবাজারে সড়ক অবেরাধ করা হয়। এখন গাড়ি চলাচল করছে। তবে থানায় এখনো কোন মামলা হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ