বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কড়াকড়ির কারণে এবারে থার্টিফাস্ট নাইটে বর্ষ বিদায়-বরণে কোন আয়োজন নেই কক্সবাজারে। তার পরেও থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপনে কক্সবাজার এসেছেন হাজারো পর্যটক।
কক্সবাজারে হোটেল মোটেল জোনে সম্প্রতি এক নারী পর্যটক ধর্ষণের বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনায় নড়েচড়ে বসেছে জেলাও পুলিশ-প্রশাসন। ঘটে যাওয়া সেই চাঞ্চল্য ঘটনার কথা ভুলে পর্যটকরা যেন নি:সংকোচে কক্সবাজার আসেন সেই প্রচেষ্টায় কমতি নেই জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের।
এদিকে বছরের শেষ দিন ও নতুন বছরের আগমনে ‘থার্টি ফাস্ট নাইট’ উপলক্ষে প্রকাশ্যে বড় কোন আয়োজন না থাকলে
পর্যটন নগর কক্সবাজারে থামনি পর্যটক স্রোত। শীতের হিমেল হাওয়া ও বিস্তীর্ণ বালিয়াড়িতে মেতে উঠে হাজারে পর্যটক।
সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি নারী পর্যটকদেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নানান উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমদ।
তিনি জানান, কক্সবাজারে সাড়ে ৪শ’ আবাসিক হোটেলে প্রায় দেড় লাখ লোক রাত্রিযাপন করতে পারবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিটি হোটেলে সিসিটিভি ক্যামেরা নিশ্চিত করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এজন্য বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সাদা পোশাকধারী পুলিশ সবসময় মাঠে থেকে দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি বলেন, কক্সবাজারে প্রত্যেক বিনোদন কেন্দ্রে টুরিস্ট পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাস্থ্যবিধি মানা ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় কয়েক স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে টুরিস্ট পুলিশ। তবে এবারেও সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে যে, উন্মুক্ত স্থানে থার্টিফাস্ট নাইটের কোনো আয়োজন করা যাবে না। তাই কক্সবাজারেও উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান জানান, পর্যটকদের সেবার মান বাড়াতে এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একাধিক বৈঠকে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত ও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শুধু থার্টিফার্স্ট নাইট বা বর্ষবরণ নয়, ভরা পর্যটন মৌসুমে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মনিটরিং কমিটি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করবেন এটি।
ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার সভাপতি আনোয়ার কামাল জানান, এবারে ‘থার্টি ফাস্ট নাইট’ উপলক্ষে এ পর্যন্ত ৭০-৮০ ভাগ রুম বুকিং হয়েছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় সৈকতে উন্মুক্ত স্থানে কোনো আয়োজন হচ্ছে না। তাই এবার কক্সবাজারে পর্যটক আগমন আশানুরূপ হবে না। নতুন বছর ভালোভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস এবার একটি বিশেষ ছাড় দিচ্ছে। তা হচ্ছে রুমে দুজনের জায়গায় তিনজন, তিনজনের জায়গা চারজন। এভাবে প্রতিটি রুমে অতিরিক্ত পর্যটক থাকার ব্যবস্থা করা হবে। এজন্য অতিরিক্ত কোনো টাকা নেওয়া হবে না। নিয়ন্ত্রিত মূল্যে সব রুম বুকিং দেওয়া হচ্ছে। তিনি কোনো দালালের মাধ্যমে হোটেল বুকিং না দেওয়ার জন্য পর্যটক অতিথিদের প্রতি অনুরোধ করেন।
আবাসিক হোটেল অফিসার্স অ্যাসোশিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ জানান, এখন সব হোটেল অনলাইনে বুকিং নিচ্ছে। তাই কোনো দালালের কাছে না গিয়ে সরাসরি হোটেল বুকিং দিলে সাশ্রয় রেটে রুম পাওয়া সম্ভব।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে শহরের সন্ত্রাসী আশিক চক্রের হাতে স্বামী-সন্তান নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে আসা এক নারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। পরে কক্সবাজারের হোটেল জিয়া গেস্ট ইন থেকে র্যাব ধর্ষিতা নারী পর্যটককে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার সদর থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভিকটিমের স্বামী। এই মামলায় এপর্যন্ত ৬ জন গ্রেপ্তার হয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।