বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সিদ্ধিরগঞ্জে ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীর হোসেনকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে অপর কাউন্সিলর প্রার্থী শাহজালাল বাদলের বিরুদ্ধে। আলমগীর হোসেনের সমর্থকদের মারধরও করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাদলের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। শাহজালাল বাদল সাতখুন মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী নুর হোসেনের ভাতিজা। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা, মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টারসহ নানা অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর একটার দিকে নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীরের লোকজন পোষ্টার লাগাচ্ছিলেন। এসময় প্রতিপক্ষ প্রার্থী বাদল ও তার অন্যতম সহযোগী তাহেরুলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, দা ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। তারা আলমগীরের কর্মীদের মারধর ও পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলে। এসময় হুমকি দেয় যে, নির্বাচনী প্রচারণায় নামলে খুন করে ফেলবে।
কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীর জানান, নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর থেকেই বাদল আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে নির্বাচন না করার জন্য। নির্বাচন করলে আমাকে দেখে নিবে। তার হুমকি ধামকি উপেক্ষা করে আমি মনোনয়নপত্র দাখিল করি। তখন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করার চেষ্টা চালায়। তার হুমকি উপেক্ষা করে নির্বাচন কারার সিদ্ধান্তে অটল থাকি। গত ২৮ ডিসেম্বর আমি প্রতীক পাই লাটিম। আর বাদল পায় ঠেলাগাড়ি।
আলমগীর বলেন, আমার জনপ্রিয়তা দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে হুমকি ধামকি ও হামলা মারধর করে আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বাদল।
এ বিষয়ে জানতে কাউন্সিলর প্রার্থী বাদলের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো: বিল্লাল হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।