বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে বেগম জিয়া কারাগারে বন্দী থেকেছেন। পাক সেনারা তাকে তার সন্তান সহ কারাগারে বন্দি রেখেছিলো। তাই তিনি শুধু মুক্তিযোদ্ধাই নন বরং বাংলার প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বলে সম্বোধন করেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঠাকুরগাঁও সাধারণ পাঠাগার মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে এক জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া মুক্তিযোদ্ধা,এ কথা শুনলে আওয়ামীলীগ এর বড় বড় নেতা, চমচা সহ স্বয়ং মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর গায়ে ফোঁসা পড়ে। বেগম জিয়া উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। তিনি ৯ বছর ধরে দেশের গ্রামে গঞ্জ থেকে শুরু করে সারা দেশেই আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। তিনি স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় এসেছিলেন।
মির্জা ফখরুল সরকার পতন এবং আন্দোলনের বিষয়ে বলেন, নতুন বছরের শুরুতেই আমরা অবৈধ, অত্যাচারী এবং ভোটচোর এ সরকারের পতনের দিন ধার্য করবো। বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়ে আমরা এ সরকারের পতন ঘটাবো এবং বেগম জিয়ার সুযোগ্য সন্তান তারেক রহমানের হাত ধরেই গণতন্ত্রকে পুনঃ প্রতিষ্ঠা করবো ।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেশের ও জনগণের জন্য গণতন্ত্র রক্ষায় আপসহীন সংগ্রাম করেছেন। মিথ্যা মামলায় আটক হয়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমারা অবিলম্বে তার মুক্তি চাই। তার সুচিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। ‘সারাদেশের মানুষের দাবি বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর। কিন্তু এসব দাবি সরকারের কানে যায় না। যদি খালেদা জিয়ার কিছু হয় সরকারকে এর দায় নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রিজাইডিং অফিসার দিয়ে ভোট চুরির নতুন কৌশল আবিষ্কার করছে আ.লীগ সরকার। এখন আর সহিংস পরিবেশ তৈরির প্রয়োজন পড়েনা। প্রিজাইডিং অফিসার দিয়েই ভোটের ফলাফল পাল্টে ফেলা যাচ্ছে অনায়াসেই।
ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দীন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু সহ জেলা ও জেলার বাহিরের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।