Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

নোয়াখালীতে দলিল লেখকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ৭০লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১, ৫:৪৯ পিএম

নোয়াখালী সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক মো. জামাল উদ্দিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৭০লাখ টাকা আতœসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণার মাধ্যমে উত্তরা ব্যাংক লি. সোনাপুর শাখার ৭০লাখ টাকা আতœসাত করে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রুপান্তর করে। একই সাথে তারা সরকারের একলাখ বার হাজার তিনশত কুড়ি টাকা কর ফাঁকি দেয়।

বৃৃহস্পতিবার দুদুকের সহকারি পরিচালক সুবেল আহমেদ বাদি হয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন। মামলা নং-০৪। আসামিরা হলো, সূবর্ণচর উপজেলার পশ্চিম চর জব্বর চর রশিদ গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে মো. সাহজাহান, সদর উপজেলার পাক কিশোরগঞ্জ জালিয়াল এলাকার ছায়েদল হকের ছেলে সেকান্তর মিয়া এবং উত্তর ওয়াপদা পূর্ব শুল্লুকিয়া গ্রামের হাজি আবদুল মান্নানের ছেলে ও সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক জামাল উদ্দিন।

জানান গেছে, সূবর্ণচর উপজেলার আবদুল্লাহ মিয়ার হাট বাজারের মেসার্স জননী ট্রেডার্সের মালিক সাহজাহান আবদুল্লা তার প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরণের ভূসা মালের পাইকারি ব্যবসা করতেন। গত ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর সাহজাহান তার ব্যবসা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে উত্তরা ব্যাংক, সোনাপুর শাখা থেকে ৫৫লাখ টাকা ঋণের জন্য ম্যানেজারের কাছে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যাংক ম্যানেজার ঋণ আবেদনটি উত্তরা ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করেন। পরে ৪৭.৩৫ শতাংশ জমি বন্ধক নিয়ে ব্যাংক ৫০লাখ টাকা ঋণ প্রদান করেন। এরপর ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর পূণরায় ব্যবসা বৃদ্ধির লক্ষে আরও ৯.৬৫শতাংশ আবাসিক জমির উপর নির্মিত একতলা বিশিষ্ট বাড়ি বন্ধক রেখে ঋণসীমা ৭০ লাখ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন। অনুমোদন পাওয়ার পর উত্তরা ব্যাংক সোনাপুর শাখা নতুন ৯.৬৫শতাংশ আবাসিক জমিসহ মোট ৫৭শতাংশ জমি সদর সাব রেজিষ্ট্রারের কার্যালয় নোয়াখালী বন্ধকী দলিলমুলে সম্পাদন করেন। উল্লেখিত ৯.৬৫শতাংশ জমি সেকান্তর মিয়ার থেকে সাব রেজিষ্ট্রারের কার্যালয়ের মাধ্যমে একতলা বাড়ি নির্মাণ করেন সাহজাহান। সেকান্তর হলেন সাহজাহানের স্ত্রীর বড় ভায়েরা। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ব্যাংকে মডগেজ দেওয়ার আগের দিন নতুন গ্রহনকৃত ৯.৬৫ শতাংশ জমি আবাসিক ভিটি হিসেবে দেখিয়ে সেকান্তর মিয়ার ছেলে শরিফ উল্লার নিকট হস্তান্তর করে। ওই জমি হস্তান্তরের সময় এক তলা বাড়িটির কথা গোপন রেখে দলিল নিবন্ধন করা হয়। যার ফলে সরকারের ১ লাখ ১২ হাজার ৩২০টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়। দলির লেখক জামাল উদ্দিন এ কাজে সহযোগীতা করেন। যেহেতেু তারা পরস্পরের যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণার মাধ্যমে উত্তরা ব্যাংক সোনাপুর শাখার ৭০লাখ টাকা আতœসাতৎপূর্বক হস্তান্তর, স্থানান্তর, রুপান্তর করা ও সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক।
দুদকের উপ পরিচালক সৈয়দ তাহসিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ