বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোরের কেশবপুর উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। আর এ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর কর্মীদের ভেতর সংঘর্ষ, নির্বাচনী কার্যালয়সহ প্রচার মাইক ভাংচুর হামলা মামলা অব্যাহত থাকায় নির্বাচনী মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। গত ২০ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ও ২৮ ডিসেম্বর রাতে পয়ন্ত উপজেলার মঙ্গলকোট, গৌরিঘোনা ও ত্রিমোহিনী মজিদপুর ও কেশবপুর সদর ইউনিয়ন সাতবাড়িয়া , পাঁজিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মটরসাইকেল, নির্বাচনী অফিস, প্রচার মাইক ও গাড়ি ভাংচুর, পোস্টার এবং অন্ততঃ ৪০ জন কর্মীকে মারপিট করায় এলাকায় উত্তেজনা ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ ভোটারদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। এ সকল ঘটনায় স্ব স্ব প্রার্থী রিটানিং কর্মকর্তা ও থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, ২০ ও ২৫ ডিসেম্বর রাতে গৌরিঘো ইউনিয়নে মটরসাইকেল ভাংচুর ও পোস্টার ছেড়াসহ এলাকায় মহড়া দেয়া হয়। এ কারণে প্রার্থীসহ তাদের কর্মী-সমর্থকরা ভোট পরিচালনা ও প্রচার কাজে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছেন। ২৫ ও ২৮ ডিসেম্বর রাতে ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ ওয়াহিদুজ্জামান ও আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম আনিছুর রহমানের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়। আহতদের ৬ জন হাসাপাতালে ভর্তি হন। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে ত্রিমোহিনী বাজারে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম আনিছুর রহমান এলাকার শত শত নারী- পুরুষদের নিয়ে মানববন্ধন করেন। ওই রাতে পাঁজিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেন মুকুলের কয়েক দফা প্রচার মাইক ভাংচুর করাসহ ৫ জন কর্মীকে মারপিট করা হয়। একই রাতে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী উত্তম ঘোষের নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ২৭ ডিসেম্বর রাতে মজিদপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ূন কবীর পলাশের আনারস প্রতীকের প্রচার মাইক ভাংচুর করে ৫ জন কর্মীকে মারপিট করা হয়। তাদেরকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একইদিনে কেশবপুর সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রভাষক আলাউদ্দিনের মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রচার মাইক ভাংচুর এবং তার ৪ জন কর্মীকে মারপিট করে আহত করা হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৪ ডিসেম্বর রোববার রাতে উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল কাদের বিশ্বাস ও আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেনের কর্মীদের মধ্যে কন্দর্পপুর এলাকায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় প্রার্থীর ১০ জন কর্মী মারাত্মকভাবে আহত হন। এ ঘটনার পরই কেশবপুর উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কর্মীদের ভেতর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আর সাধারণ ভোটারদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান প্রভাষক আলাউদ্দিন ও মজিদপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবীর পলাশ বলেন,সমপ্রতি যশোরে বিএপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে মনিরামপুর থানায় একটি মামলায় কেশবপুরের মজিদপুর ও কেশবপুর সদর ্ইউনিয়নের ৪৫জন নেতা কর্মির নাম উল্লেখ করে এবং অগ্যাত ্আসামি করাই প্রতিরাতে ডিবি পুলিশের অভিযানের করনে সাধারণ নেতা কর্মি বাড়ি ঘুমাতে পারছেনা। তার সাথে নৌকা প্রতীকের কর্মীরাই তাদের প্রচার মাইক ভাংচুর করাসহ কর্মীদের মারপিট করে আহত করছে প্রতিনিয়াত। তারা দুজনই বিএনপির সমর্থিত হয়ে গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা বজলুর রশিদ বলেন, অভিযোগ পেয়ে থানায় পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দীন বলেন, কেশবপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করার লক্ষে সকল ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর থেকে ইউপি নির্বাচনে আইন শৃংখলা রক্ষার জন্য অতিরিক্তি পুলিশ, ডিবি, র্যাব এ উপজেলায় মোতায়েন রয়েছে। আইন শৃংখলা বিঘœ সৃষ্টিকারিদের কো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।
উল্লেখ্য, আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে কেশবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।