Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তৈমুরকে হঠাৎ মির্জা ফখরুলের ফোন : নিয়েছেন নির্বাচনের খোঁজ-খবর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১:০৬ পিএম

নারায়ণগঞ্জের মাসদাইরে আজ বুধবার মজলুম মিলনায়তনে চলছিল মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আয়োজনে ওই দোয়া মাহফিল চলাকালেই সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারের মোবাইল ফোন বেজে উঠে। তৈমুর আলম ফোনে কথা বলা শুরু করেন। অপর প্রান্ত থেকে কথা বলছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্বাচনের খোঁজ-খবর নেয়ার পাশাপাশি কার কি অবস্থান নানান প্রশ্ন করে জেনে নিচ্ছিলেন তিনি।

এদিকে জেলা বিএনপির আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি ইনকিলাবকে বলেন, নানা ক্ষেত্রে মেয়র আইভির ব্যর্থতার কারণে মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। সে হিসেবে এই সিটির মানুষের কাছে মজলুম জননেতা তৈমুর আলম খন্দকার পছন্দের প্রার্থী। দলীয় মহাসচিবের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার বিষয়ে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘ওলামা দলের দোয়া চলাকালীন মহাসচিব আমাকে ফোন করে নির্বাচনের বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। এ সময় মহাসচিব বলেছেন, নির্বাচনের মাঠে আপনার কি কি সমস্যা আছে, আমাদের জানান। বিএনপি আপনার পাশে। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেছেন, তৈমুর সাহেব জনগণের দাবির মুখে, পরিবেশ পরিস্থিতিতে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি এখন জনতার প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বিজয়ী হলে জনতার বিজয় হবে। তিনি ব্যর্থ হলে কিন্তু সরকার বলবে বিএনপির একজন নেতা স্বতন্ত্র নির্বাচন করে পরাজয় বরণ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে আপনারা বিবেক বিবেচনা করে যা ভালো মনে হয় তা করবেন। আপনাদের যার যার অবস্থান থেকে আপনারা আপনাদের কর্তব্য ঠিক করে নেবেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, মহাসচিব যখন ফোন দেন, তখন আমরা ওলামা দলের একটি বৈঠকে ছিলাম। আমি তখন তৈমুর আলম খন্দকারের কাছে ফোন দিলে তিনি জানান-তার সাথে মহাসচিবের কথা হয়েছে। তিনি প্রার্থীর খোঁজ-খবর নিয়েছেন। এটিএম কামাল আরও জানান, মহাসচিব বলেন-নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনে কাজ করতে দলীয় কোনো বিধি নিষেধ নেই। আপনারা যদি ইচ্ছা করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে যদি কাজ করেন, এতে দল বাধা দেবে না। যেহেতু আমরা মানুষের মৌলিক অধিকারে বিশ্বাস করি, তাই স্থানীয় মানুষের চাহিদা ও তাদের পছন্দে আমাদের কোনো বিধি নিষেধ নেই।

হাতি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অবতীর্ণ হওয়ায় প্রতিপক্ষ প্রার্থীর লোকজন বিভিন্নভাবে প্রমাণ করতে চাইছেন, তৈমুর স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি তার পাশে নেই। প্রকৃতপক্ষে তৈমুরের পাশে নারায়ণগঞ্জের বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে পাশে রয়েছে। সবাই নির্বাচনী মাঠে কাজ করছে। কেন্দ্রীয়ভাবেও দলের সমর্থন তার প্রতি রয়েছে। শুরু থেকেই তৈমুর বলে আসছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপি রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করছে। তার পাশে বিএনপিও রয়েছে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলও রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের জনগণের চাহিদার কারণেই তিনি প্রার্থী হয়েছেন। জনগণই তার মার্কা। বিএনপির একাধিক সূত্র ইনকিলাবকে জানান, তৈমুর আলম খন্দকারের পরিচয় নতুন করে দেয়ার কিছু নেই। বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাকে ঠিকই খুঁজে নেবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ