পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যে কোনো সময় নিয়োগ দেয়া হবে প্রধান বিচারপতি। সাংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুসরণে মহামান্য প্রেসিডেন্ট দিনের যেকোনো মুহূর্তে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইলে স্বাক্ষর করবেন। এরই মধ্যেই ‘উপযুক্ত ব্যক্তি’র নাম সুপারিশ করে আইন মন্ত্রণালয়ের ফাইল প্রধানমন্ত্রীর দফতর হয়ে বঙ্গভবনে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। তথ্য নির্ভরযোগ্য সূত্রের।
সূত্র মতে, রাষ্ট্রের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ বিচার বিভাগের প্রধান বিচারপতির পদটি শূণ্য হচ্ছে আগামিকাল (৩১ ডিসেম্বর)। এর আগেই সম্পন্ন করা হবে দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগ। আইনমন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র দাবি করেছে, প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া এরই মধ্যেই চ‚ড়ান্ত হয়েছে। প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ যোগ্য আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির নাম এখন মহামান্য প্রেসিডেন্টের টেবিলে রয়েছে। বিচারাঙ্গনের দৃষ্টি এখন তাই বঙ্গভবনের দিকে।
এদিকে দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে সৈয়দ মাহমুদ হোসেন গত ১৫ ডিসেম্বর এজলাসে বসে শেষ বিচারকার্য পরিচালনা করেন। এ পদ থেকে থেকে তিনি অফিসিয়ালি অবসরে নিচ্ছেন আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর। বিদায়ী সম্ভাষণে সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বিচারপতি নিয়োগে আইন প্রণয়ন অপরিহার্যতার কথা উল্লেখ করন। তবে ২৩ তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিতে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে অনুসৃত প্রথা অনুসারেই। কে বসতে যাচ্ছেন প্রধান বিচারপতির চেয়ারে- সেই জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটতে যাচ্ছে দিনের যে কোনো সময়। কিন্তু কে হবেন দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি?
বিচারাঙ্গন সংশ্লিষ্টদের বিশ্লেষণ মতে, সিনিয়রিটির ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হলে আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীই পারেন এ আসনে। তার পরপরই রয়েছেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ননী এবং বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। কিন্তু বিচারপতি মো. ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও মো. নূরুজ্জামান ননী অবসরে যাবেন ২০২৩ সালে। এ বিবেচনায় কিছুটা বেশি সময় পাবেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ৬৭ বছর পূর্ণ করে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি অবসরে যাবেন বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী। তিনি প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলে তার মেয়াদকাল হবে এক বছর।
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী নিয়োগ পেলে তার মেয়াদকাল হবে দেড় বছরের সামান্য বেশি। ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অবসরে যাবেন তিনি। বিচারপতি নুরুজ্জামান ননী অবসরে যাবেন ২০২৩ সালের ১ জুলাই। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান অবসরে যাবেন ২০২৬ সালের ১১ জানুয়ারি। এসব বিবেচনায় বিচারাঙ্গন সংশ্লিষ্ট কারও কারও মতে, হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী কিংবা বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ননীকে দেয়া হতে পারে প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ। তবে নিয়োগপত্রে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়েই সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।