Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আশুলিয়ার নারী শ্রমিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে কারখানা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

সাভার থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ৯:০৪ পিএম

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় এক নারী শ্রমিককে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’ মামলায় কারখানার এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার গ্রেপ্তার গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলম (৩০) কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার সাকতলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আশুলিয়ার বেরন এলাকায় নুরুজ্জামানের ভাড়া দেওয়া বাড়িতে থেকে স্থানীয় ইয়াগি বাংলাদেশ গার্মেন্টস লিমিটেডে পোশাক কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এরআগে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ আশুলিয়ায় থানায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলাটি নথিভুক্ত করেন।

১৯বছরের ওই পোশাক কর্মী মামলায় উল্লেখ করেছেন, ১৮ ডিসেম্বর সে ইয়াগি বাংলাদেশ গার্মেন্টসে হেলপারের চাকরি নেন। ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে খাবারের জন্য বিরতি দিলে অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে তিনি নিজেও খেতে যাচ্ছিলেন। তখন কারখানার এক নারী এসে রক্ত লাগবে জানিয়ে তাকে নিচ তলার একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমসহ আরও দুই ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

রক্ত নেয়ার কথা বলে ইনজেকশন পুশ করলেই সে অচেতন হয়ে পরে। পরে তাকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। প্রায় দুই ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরে এলে ওই নারী বাড়িতে চলে যান এবং বাবা-মাকে বিষয়টি খুলে বলে। এরপর বাবা-মাকে নিয়ে কারখানায় গেলে এক নিরাপত্তাকর্মী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম তাদের কারখানার ভেতর ঢুকতে না দিয়ে গালাগাল করে তাড়িয়ে দেন।

মঙ্গলবার বিষয়টি শ্রমিকরা জানতে পারলে তারা কাজ বন্ধ করে দিয়ে কর্মবিরতির মাধ্যমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পরে কর্তৃপক্ষ কারখানা ছুটি ঘোষণা করে।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) জামাল সিকদার বলেন, পোশাক কারখানার শ্রমিক ধর্ষণের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই মামলা হিসেবে নেয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীরকে। ওই নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

কারখানাটির পরিচালক মোরশেদ কবির পলাশ বলেন, আসলে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে কি না তা আমরা নিশ্চিত না। বিষয়টি নিয়ে আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে। যদি এমন কিছু ঘটে থাকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আশুলিয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান বলেন, ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ