Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচিত হলে জনদুর্ভোগ কমানোই ‘প্রথম কাজ’ হবে আমার : তৈমুর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ৪:৩৯ পিএম

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়র নির্বাচিত হলে জনদুর্ভোগ কমানোই ‘প্রথম কাজ’ হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নাসিকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।
তিনি বলেন, ‘আমি নাগরিক সেবা ও নাগরিকদের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই এই নির্বাচনে নেমেছি। নির্বাচিত হলে আমার প্রথম কাজ হবে অযাচিত ভাবে যে হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং পানির যে নতুন ট্যাক্স ধার্য করা হয়েছে এবং বিভিন্ন যে জটিলতাসহ জনদুর্ভোগ কমানো।’
বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ১ নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় গণসংযোগের সময় সাংবাদিকের এসব কথা বলেন তিনি।
তৈমুর আলম বলেন, ‘নির্বাচিত হলে হোল্ডিং ট্যাক্স পানির ট্যাক্স কমানো হবে। ট্রেড লাইসেন্সও পূর্বের জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। জনগণের হয়রানি হবে না, তাদের সেবা বৃদ্ধি করা হবে। খেটে খাওয়া মানুষের পেটে লাথি দেওয়া যাবে না। তাদের আগে পুনর্বাসন করতে হবে তারপর উচ্ছেদ করতে হবে। পুনর্বাসন ছাড়া কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।’
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিদ্ধিরগঞ্জ আসেন। তার সঙ্গে বিএনপির এমন ক’জন নেতাকে দেখা গেছে যাদের বিরুদ্ধে গৃহবিবাদের অভিযোগও রয়েছে।
তৈমুর বলেন, ‘একটা নিরাপদ নগরী গড়তে হবে। শাবল পড়ে মানুষ মারা যাবে, রেলগেইট ভেঙে যানজটে মানুষ মারা যাবে, সড়কের অব্যবস্থাপনার কারনে মানুষ মারা যাবে, যানজট হবে, শব্দ দূষণ হবে, এসব থাকবে না। জলাবদ্ধতা শেষ করে দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কোনো ক্ষমতা নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি ইচ্ছা করে তাহলে এ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। বাংলাদেশের একমাত্র পাওয়ার পয়েন্ট প্রধানমন্ত্রী। নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কী হবেনা এটা নির্ভর করে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার ওপর।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার পা খুব শক্ত। আমি নিজের পায়েই গত পঞ্চাশ বছর যাবৎ বিভিন্ন অবস্থার মধ্যে হেঁটে চলছি। আমি শঙ্কিত নই। কারণ জনগণ আমার পাশে আছে। আমি কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে চাই না।’
নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা ‘পালন করছে না’ এমন অভিযোগে তিনি বলেন, ‘বিএনপির এত বড় র‌্যালি করেছে, নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে যাইনি। অথচ আমার অভিযোগ দেওয়ার পরেও তারা আওয়ামী লীগের সমাবেশ বন্ধ করেনি। সেখানে প্রতীকসহ সমাবেশ হয়েছে। আমি শঙ্কিত যে তারা আমাদের সাথে দ্বিমুখী আচরণ করছে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ