Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পদ্মার চরে মাষকলাইয়ে চাষির সাফল্য

মাহফুজুল আলম, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

পদ্মার চরে মাসকলাই চাষ করে এ বছরও ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন কুষ্টিয়ার চাষিরা। ফলন ভাল হওয়ায় কাটা মাড়াই শেষে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কম খরচ ও অল্প পরিশ্রমে ডাল জাতীয় এ অর্থকরী ফসল চাষ করে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরেছে দরিদ্র চরবাসির।
কুষ্টিয়ায় চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ২৫৬ হেক্টর জমিতে মাসকলাই চাষ হয়েছে। এরমধ্যে পদ্মা নদী বিধৌত দৌলতপুরের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে চাষ হয়েছে ২ হাজার ৪২৩ হেক্টর জমিতে। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে মাত্র দেড় থেকে দুই হাজার টাকা, আর ফলন হচ্ছে ২-৩ মন হারে। বিনা পরিশ্রমে মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে খরচ বাদ দিয়ে ৩ হাজার টাকা মন দরে বিক্রয় করে চাষিদের লাভ হচ্ছে বিঘা প্রতি ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা। যা স্বপ্লকালীন অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশী।
দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মাসকলাই চাষি আব্দুল জাব্বার জানান, এবছর সে পদ্মারচরে ৫বিঘা জমিতে মাসকলাই চাষ করেছিল। খরচ হয়েছিল মাত্র ৭হাজার টাকার মত। ৫ বিঘা জমিতে ১৫মন কালাই পেয়েছে। ৩ হাজার টাকা মন হিসেবে বিক্রয় করলেও তার ৪৫হাজার টাকা আয় হবে। যা অল্প সময়ে বিনা পরিশ্রমে এবং কম খরচে অন্যান্য ফসল থেকে আয় হওয়া সম্ভব না।
এদিকে চাষিদের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা মন দরে মাসকলাই ক্রয় করে অড়ত বা পাইকার ব্যবসায়ীদের কাছে ৩ হাজার ২০০টাকা টাকা দরে বিক্রয় করে চাষিদের পাশাপাশি খুচরা ব্যবসায়ীরাও লাভবান হচ্ছেন। তবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি কলাই এখন বিক্রয় হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০টাকা দরে।
অর্থকরী এ ফসল চাষ বৃদ্ধিতে চরবাসীর জন্য আরো প্রয়োজন কৃষি বিভাগের পরামর্শ, প্রণোদনা ও পৃষ্ঠপোষকতার।
তবে কৃষি বিভাগের পরামর্শের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে আধুনিক ও উচ্চফলনশীল জাতের মাসকলাই বীজ সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় প্রনোদনা দেওয়ায় এবছর মাসকলাই চাষে ভাল ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম।
অনাবাদী পদ্মার চরে অর্থকরী ফসল মাসকলাই চাষ বৃদ্ধি পেলে দেশের ডালের চাহিদা পুরণের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ