বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটের এক তরুণী ফুটবলার জড়িয়েছে সমকামিতায়। তার পার্টনার গাইবান্ধার অপর এক নারী ফুটবলার। বয়সে দু’জনই পরিপূর্ণ। সিলেটে তরুনী খেলেন জেলা ফুটবল দলে, গাইবা›ন্ধার ওই তরুনী স্থানীয় নারী ফুটবল দলের সদস্য। খেলা মাঠ থেকেই পরিচয় তাদের। সেই পরিচয়ের সুবাধে তারা অস্বাভাবিক এক মানসিক ্ও দেহজ সর্ম্পকে জড়িয়েছেন তারা। সম্প্রতি সেই সর্ম্পকের টানে সিলেটে তরুনী ফুটবলার আয়েশা ঘর ছেড়ে পাড়ি দেন গাউবান্ধায়। সেখানে যেয়ে সমকামি প্রেমিকা কবিতার সাথে রাত্রি যাপন করেন আয়েশা। এরমধ্যে দিয়ে আর্ওো ঘনিষ্ট হন দু’জন। একপর্যায়ে পরস্পর সিদ্ধান্ত নেন বিয়ের। এতেই ঘটনাটি চাউর হয়ে যায় সর্বত্র। পরিবারের লোকজন অস্বাভাবিক এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। এরমথেধ্য দিয়ে বিষয়টি গড়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও থানা পুলিশে। কিন্তু এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আতœহত্যার চেষ্টা চালান দুই সমকামি তরুনী। এমন তৎপরতার খবর পেয়ে আয়েশার পরিবার ছুটে যান গাইবান্ধায়। এতে আরোও।ক্ষেপে যায় আয়েশা। কোনভাবেই সমকামি প্রেমিকা কবিতার বাড়ি ছাড়া চলবে না তার। আয়েশাকে জোর করে গাড়িতে তুলে সিলেটে নিয়ে আসার ব্যর্থ চেষ্টা চালান তার পরিবারের সদস্যরা। এমনকি সেজন্য ঘুমের ইনজেকশন পুশ করেন আয়েশার শরীরে। এ দুই নারী ফুটবলারের সমকামিতার ঘটনাটি রটেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র মতে, মাস দুয়েক আগে খেলার সুবাদে ঢাকায় আয়েশার সঙ্গে পরিচয় হয় কবিতার। পরিচয় থেকেই দুজনের মধ্যে¡ তৈরি হয় ভালো বন্ধুত্ব। এরপর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে খেলতে যান আয়েশা। ওঠেন কবিতার বাড়িতে। কবিতার সঙ্গে একই বিছানায় রাত্রি যাপন করেন আয়েশা। এরপর একে অপরের প্রতি তৈরী হয় এক অস্বাভাবিক ভালোবাসা, ভালো লাগা। এরপর দুজন সিলেট ও গাইবান্ধায় অবস্থান করলেও মোবাইল ফোনে চালিয়ে যান সর্ম্পক। কয়েকদিন আগে কবিতা মোবাইলে কথা বলা বন্ধ করে দেন আয়েশার সঙ্গে। এতে অস্থির হয়ে উঠেন আয়েশা। পরিবারের অগোচরে সিলেট থেকে আয়েশা চলে যান গাইবান্ধায়। সেখানে যেয়ে ওঠেন কবিতার বাড়িতে। এরপর কবিতাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন আয়েশা। কিন্তু এতে বাধা দেয় কবিতার পরিবার। বিষয়টি গড়ায় স্থানীয় কোচ, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ পর্যন্ত। তারাও দুই তরুণীকে চেষ্টা করেন বোঝাতে। একপর্যায়ে আত্মহননের চেষ্টা চালায় ্ওরা দুজন। আয়েশা ধারালো ছুরি দিয়ে দুই হাত কেটে চেষ্টা করেন মৃত্যুর। গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান কবিতাও। পরিবারের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে ভর্তি করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে।
এরমধ্যে গাইবান্ধায় চলে যান সিলেট থেকে আয়েশার মা সহ পরিবারের সদস্যরা। তাকে বুঝিয়ে সিলেটে ফেরানোর চেষ্টা করে তারা। এক পর্যায়ে ঘুমের ইনজেকশন পুশ অনেকটা জোর করে আয়েশাকে বাসে উঠান পরিবারের সদস্যরা। এসময় আয়েশা চিৎকার বলেন, ‘আমি কবিতার কাছে যাবো। আমি কবিতাকে ছাড়া বাঁচবো না।’ গাইবান্ধা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কমিশনার কামাল হোসেন বলেন, তাদের সম্পর্ক প্রায় দুই মাস ধরে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।