বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নয়টিতেই নৌকা প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। মাত্র একটিতে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আর জামানত হারিয়েছেন আ.লীগের তিন প্রার্থী। জানা যায়, কোনো প্রার্থী মোট কাস্টিং ভোটের ১২.৫% ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
নৌকা প্রতীকের একমাত্র বিজয়ী প্রার্থী হলেন শেখর ইউনিয়নের কামাল আহমেদ। অন্য ৯টিতেই নৌকার ভরাডুবি হয়।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম দৈনিক ইনকিলাবকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কামাল আহমেদ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৬,৮৭৩ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ'লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ মোটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪,৯৮৬ভোট।
এ ছাড়া বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আব্দুল হক শেখ মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩,০৫৩ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত এ,কে,এম, হামিদুল বারি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২,২০১ ভোট, নৌকা পেয়েছে ৮৭০ ভোট।
ময়না ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আব্দুল হক মৃধা হাতপাখা প্রতীকে ৫,৬৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের পলাশ বিশ্বাস পেয়েছেন ৩,৩৪৮ ভোট।
চতুল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মহম্মদ রফিকুল ইসলাম চশমা প্রতীকে ৪,৫৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস, এম আলিমুজ্জামান পেয়েছেন ৪,২৬৬ ভোট। এ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খোন্দকার মো. আবুল বাসার ৭১৫ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছে।
গুনবহা ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত মো. সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ) চশমা প্রতীকে ৪,৯০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন , তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ'লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মু. আমিনুল ইসলাম মোটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪,১৮১ ভোট। এই ইউনিয়নে নৌকা ১,০৮২ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছে।
সাতৈর ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত রাফিউল আলম মিন্টু ৫,৮৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার মজিবর রহমান পেয়েছে ৫,৭০৮ভোট।
ঘোষপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইমরান হোসেন নবাব আনারস প্রতীক নিয়ে ৬,১৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার মো. ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৫,৯১৩ ভোট।
রূপাপাত ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান মোল্যা আনারস প্রতীক নিয়ে ৪,৫৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার মো. মহব্বত আলী পেয়েছেন ৩,২০৪ ভোট।
পরমেশ্বর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মান্নান মাতুব্বর ঘোড়া প্রতীকে ৪,০৪১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাব্বির মিনা অনিক পেয়েছেন ৩,৪৪৫ ভোট। নৌকা এ ইউনিয়নে রয়েছে চার নম্বরে।
দাদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ৫,১২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ'লীগের অপর বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মো. শামীম মোল্যা চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪,১১০ ভোট। নৌকার শেখ সাজ্জাদুর রহমান হাই ১,০১৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছে।
নৌকার প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্তের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে ইনকিলাবের পক্ষ থেকে বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। কিছুক্ষণ পর আবার ফোন করলে অন্য একজন ফোন রিসিভ করে বলেন সে ভুলে ফোন বাসায় রেখে গেছেন।
তবে এব্যাপারে, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম,এম মোশারফ হোসেন মুশা মিয়া গনমাধ্যম কে বলেন, "নৌকার তিন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে কি-না আমার জানা নেই। আমরা হেরে গেছি এতটুকু জানি। এর বেশি কিছু বলতে চাচ্ছিনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।