পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্তমান সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার গভীর চক্রান্তের মধ্যে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শেরে বাংলা নগরে জাসাসের নবগঠিত কমিটির সঙ্গে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই বলে কয়েক ধাপে যে ইউপি নির্বাচন হচ্ছে সেখানে প্রায় দেড় শতাধিক খুন হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সংলাপের কথা বলেন, কিসের সংলাপ। কী নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন? এই নির্বাচন কমিশন তো আপনারাই গঠন করেছিলেন। যার প্রতিফলন দেখছি, জনপদের পর জনপদ, বিভিন্ন ইউনিয়নে রক্ত ঝড়ছে। গতকালও (রোববার) তিনজন নিহত হয়েছে। এই হচ্ছে তাদের চালচিত্র।
তিনি বলেন, আজকে ক্ষমতার লোভে এতটাই মত্ত, বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য ভোটার ছাড়া তারা নিজেরা নিজেরা খুনোখুনি করছে। সুতরাং বিদায় বেলায়ও হুদা নির্বাচন কমিশন যে দৃষ্টান্ত দেখালেন, সেখানেও রক্ত এবং মানুষের লাশ। প্রেসিডেন্ট যে সংলাপ করছেন, তার উদ্দেশ্যই হচ্ছে আর একটি হুদা মার্কা নির্বাচন, আর একটি রকিব মার্কা নির্বাচন, বিনাভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচন করে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা।
রিজভী আহমেদ বলেন, এ দেশের জনগণ আর তাকিয়ে দেখবে না। হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। এ দেশের সব নাগরিক সমাজ, পেশাজীবী, সাংস্কৃতিক সংগঠন, আজকে রুখে দাঁড়িয়েছে। তাদের কণ্ঠের প্রদীপ্ত আওয়াজে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ার দৃঢ় অঙ্গীকার জানিয়েছেন।
জাসাস নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আমাদেরকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতন্ত্রের যিনি প্রতীক তাকে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। আর দেশে যে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে, কথা বলতে ভয় লাগে, চলাচল করতে ভয় লাগে, বিরোধী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। সেখান থেকে নির্ভয়ে সুস্থ বাতাস প্রবাহিত করার জন্য এই সরকারের পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, নিরপেক্ষ লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে যে সরকার আসবে, সেই সরকারকে সবাই সমর্থন করবে। সেই ব্যবস্থার সংগ্রামে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক চিত্রনায়ক আশরাফ উদ্দিন উজ্জল, জাসাসের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খান, সদস্য সচিব জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইথুন বাবু, আনিসুর রহমান সানি, লিয়াকত আলী, মো. আহসান উল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।
গত ৬ নভেম্বর চিত্রনায়ক হেলাল খানকে আহ্বায়ক ও জাকির হোসেনকে সদস্যসচিব করে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) ৭১ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।