দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
মো. নুরুল আলম
মুহাররম মাস পরিচিতি : মুহাররম হিজরি সনের প্রথম মাস। একটি মহান বরকতময় মাস। এটি এমন একটি সম্মানিত মাস যে চারটি মাসে পূর্ববর্তী নবীদের যুগে যুদ্ধ-বিগ্রহ ও রক্তপাত হারাম ছিল তাদের মধ্য একটি। কিন্তু তা বর্তমান ইসলামী শরিয়তে রহিত হলেও আদব ও শিষ্টাচার প্রদর্শন এবং ইবাদতে যতœবান হওয়ার হুকুমটি এখনও বাকি আছে। বার মাসের সংখ্যা ও হারাম মাসের পরিচিতি সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় মাসসমূহের গণনা আল্লাহর কাছে বার মাস আল্লাহর কিতাবে, (সেদিন থেকে) যেদিন তিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। এরমধ্যে থেকে চারটি সম্মানিত, এটাই প্রতিষ্ঠিত দীন। সুতরাং তোমরা এ মাসসমূহে নিজদের উপর কোন জুলুম করো না।’ (সূরা তাওবা/৩৬) পবিত্র কুরআনে চারটি সম্মানিত মাসের নাম উল্লেখ নেই তবে সহিহ-বুখারিতে এ চারটি মাস বলতে মুহাররম, রজব, জিলকদ ও জিলহজ মাসকে বুঝানো হয়েছে। (বুখারি.২৯৫৮)
মুহাররম মাসের গুরুত্ব : যে বিশেষত্বেগুলোর কারণে এ মাসটি ইসলামী শরিয়তে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ তা হল :
১. বারটি মাসের মধ্যে এ মাসটি সর্বপ্রথম। (বুখারি/২৯৫৮) ২. হাদিস শরিফে এ মাসটিকে আল্লাহর মাস বলে অভিহিত করা হয়েছে। (মুসলিম/১৯৮২) ৩. স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যে চারটি মাসকে সম্মানিত বলে অভিহিত করেছেন তার মধ্যে মুহাররম একটি। (সূরা তাওবা/৩৬) ৪. হারাম মাসগুলোর সম্মানার্থে প্রাক ইসলাম যুগেও মুশরিকরা এই মাসগুলোতে যুদ্ধ-বিগ্রহ করা থেকে বিরত থাকত। যা ইসলামের প্রথম দিকে ঠিক ছিল। কিন্তু তা পরবর্তিতে রহিত হলেও এ মাসের সম্মান করা বর্তমানেও জারি আছে। (বুখারি/১৮৬৫) ৫. এ মাসের মধ্যে এমন একটি দিন আছে যাকে ‘আশুরার দিন’ বলা হয়। যে দিনটিতে রোজা রাখলে বিগত এক বছরের পাপরাশি মোচন হয়। (মুসলিম/১৯৭৬) ৬. এ দিনেই মহান আল্লাহ দুনিয়া সৃষ্টি করেন এবং এ দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে। ৭. এ দিনকে রাসূল (সা.) ইয়াওমু ছছালিহ; ইয়াওমুল আযিম; বলে অভিহিত করেছেন। (বুখারি/১৮৬৫)।
আশুরা অর্থ : আশুরা শব্দটি আরবি ‘আশের’ (দশম) শব্দ থেকে এসেছে। ‘আশের’ হচ্ছে ‘আশারা’ (দশ) শব্দের বিশেষণ। অতএব আশুরা অর্থ হচ্ছে দশম বা দশক সেহেতু মুহাররম মাসের ১০ম দিবসকে আশুরা বলা হয়। (লিসানুল আরব, ৪/৫৬৯) আর এই শাব্দিক পরিবর্তনের ফলে সম্মানের অর্থ পাওয়া যায়। যেহেতু দিবসটি অতি সম্মানিত সেহেতু এ দিবসটি আশুরার দিবস বলে পরিচিত। (ফাতহুলবারী৪/৩১১)
ইতিহাসে আশুরা : এ দিনেই রাসূল (সা.)-এর সম্মান ও খুছূছিয়ত হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, দুনিয়া সৃষ্টি ও বৃষ্টি বর্ষণ শুরু হয়। এ দিনে হযরত আদম (আ.)-এর দোয়া কবুল, ইদরীস (আ.)-কে আকাশে তুলে নেয়া, নূহ (আ.)-কে মহাপ্লাবন থেকে রক্ষা করা, ইবরাহীম (আ.)-কে নমরূদের আগুন থেকে হিফাযত, আইয়ূব (আ.) অসুস্থতা থেকে আরোগ্য লাভ, মূসা (আ.) ও বনী ইসরাঈল নীল নদ পারি অতিক্রম করা আর ফেরাঊন তার দলসহ ডুবে নিহত হওয়ার ঘটনা, ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি, ঈসা (আ.)-কে আসমানে উঠিয়ে নেয়া ইত্যাদি অনেক অলৌকিক ঘটনা সংঘটিত হয় এবং এ দিনেই কিয়ামত সংঘঠিত হবে।
আশুরার প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত : পূর্বের আলোচনা থেকে এটা পরিষ্কার বোঝা গেল যে মুহাররম মাসের নয় ও দশ তারিখে রোজা রাখাই হচ্ছে এই মাসের করণীয় সুন্নতী আমল। আজকে সত্য ও পরিষ্কার ইতিহাস বিকৃত করে একশ্রেণীর লেখকেরা আশুরার দিনে কারবালার ইতিহাস সংযুক্ত করে বলার চেষ্টা করছে যে, ঐতিহাসিক কারবালার দিনে ইমাম হুসাইন (রা.) নির্মমভাবে শাহাদাতবরণ করেন তাই এই দিনে রোজা রাখা হয়। প্রকৃত বিষয় তা নয়। কারণ কারবালার যুদ্ধ হয়েছিল হিজরি ৬০ সালে। আর আশুরার রোজা ইসলামে প্রবর্তন হয় রাসূল (সা.) মক্কা হতে মদিনায় হিজরত করার পর দ্বিতীয় হিজরিতে। তাছাড়া পূর্ববর্তী নবী ও তাদের অনুসারীরা তা পালন করত। আর তার কারণ ছিলÑ মূসা (আ.) ফেরাউনের অত্যাচার হতে সমুদ্র পাড়ি দিয়েছিলেন তাই শুকরিয়া আদায় হেতু তিনি রোজা রেখেছিলেন। কিন্তু সেই মহাসত্য ইতিহাসকে বর্জন করে পরবর্তিতে ঘটনাচক্রে একই তারিখে কারবালার যুদ্ধে ইমাম হুসাইনের শাহাদাতবরণ করায় শুধু এ ঘটনাকে আশুরার ইতিহাস বলা হচ্ছে। প্রতি বছর মুহাররম মাস আসলেই একশ্রেণীর লোকেরা না বুঝে ইমাম ইয়াযিদকে গালিগালাজ করে থাকে আর হুসাইন (রা.)’র মৃত্যু শোকে শোকগাথা রচনা করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে থাকে। মুহাররমের তাজিয়া, নিশানা, মার্সিয়া, বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে শোক পালন এবং অন্যান্য সমারোহ ও এ সবের মধ্যে মাতম করা জাহেলিয়াতের প্রথা ছাড়া আর কিছুই না। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন- সে আমার দলভুক্ত নয় যে মৃত্যু শোকে বেহাল হয়ে গাল চাপরায়, কাপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং বিনেকি করে কাঁদে। (বুখারি ও মুসলিম) শুধু তাই নয় বরং হুসাইন (রা.) শাহাদাত বরণ সম্পর্কেও ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে।
আশুরার আমল : আশুরার একটি অন্যতম আমল হচ্ছে আশুরার রোজা অর্থাৎ ১০ মুহাররম উপলক্ষে ৯ ও ১০ তারিখে দু’টি রোজা রাখা। এ প্রসঙ্গে হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছেÑ ১. আব্দল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেনÑ নবী করিম (সা.) মদিনায় আগমন করে দেখতে পেলেন ইহুদিরা আশুরার দিন রোজা পালন করছে। নবীজী বললেন- এটি কি? তারা বলল : এটি একটি ভালো দিন। এ দিনে আল্লাহতায়ালা বনি ইসরাঈলকে তাদের দুশমনের কবল থেকে বাঁচিয়েছিলেন। তাই মুসা (আ.) এ দিবসে রোজা রেখেছিলেন। তখন রাসূল (সা.) বললেন- মুসাকে অনুসরণের ব্যাপারে আমি তোমাদের চেয়ে অধিক হকদার। অতঃপর তিনি রোজা রেখেছেন এবং রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। (বুখারি/১৮৬৫) ২. আব্দল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) আরও বলেনÑ আমি নবী করিম (সা.)-কে রোজা রাখার জন্য এত অধিক আগ্রহী হতে দেখিনি যত দেখেছি এই আশুরার দিন এবং এই মাস অর্থাৎ রমজান মাসের রোজার প্রতি। (বোখারি/১৮৬৭) ৩. নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন- আশুরার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশা করি, এ কারণে তিনি পূর্ববর্তী এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেবেন। (মুসলিম/১৯৭৬)
আশুরার শিক্ষা ও আমাদের করণীয় : ১.মিথ্যার কাছে মাথা নত না করা : ইতিহাস যে সাক্ষ্য বহন করে তাতে প্রমাণিত হয় যে, ইসলাম কখনো মিথ্যার কাছে মাথা নত করেনি। বরং মিথ্যাকে দূরীভূত করে সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য তারা ইসলাম বিরোধী শক্তির সাথে সংগ্রাম করে শাহাদাতবরণ করেছে, মাতৃভূমি ত্যাগ করেছে, অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করেছে। যেমন-নমরূদ কর্তৃক দাউ দাউ করা প্রজ্বলিত দৃশ্যমান অগ্নিকু-ে নিক্ষিপ্ত হতে একটু ও দ্বিধা করেননি হযরত ইব্রাহীম (আ.); পিছনে স্বশস্ত্র ফেরাউনের বাহিনী আর সামনে পৃথিবীর বৃহত্তম নীল নদ, অগ্র পশ্চাতে সীমাহীন বিপদ জেনেও নত স্বীকার কেরেননি হযরত মুসা (আ.); গৃহবন্দি হযরত ঈসা (আ.) নিশ্চিত হত্যার কথা জেনেও মিথ্যার আশ্রয় নিলেন না। এসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী এ মাসেই সংঘটিত হয়েছে। যুগে যুগে ইসলাম বিরোধী শক্তি ইসলামকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। কারণ আল্লাহ তাঁর দ্বীনকে কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী করবেন। তাঁর ঘোষণা, ‘তারা চায় আল্লাহর দ্বীনকে ফুঁক দিয়ে উড়ে দিতে আর আল্লøাহ তাঁর দ্বীনকে পরিপূর্ণ করতে চান।’ (ছুফ/৯) তিনি আরো বলেন ‘সত্য সমাগত আর মিথ্যা বিতারিত।’ (বানী ইসরাঈল/৮১)
২. বিদআত থেকে দূরে থাকা : সাহাবীদের পর দ্বীনের মধ্যে নতুনভাবে সৃষ্ট এমন বিষয়কে ইবাদত মনে করে করা যার ইংগিত স্পষ্ট বা অস্পষ্টাকারে কুরআন ও হাদিসে নেই তাই বিদআত (তানযিমুল আশতাত/পৃ.১২৩) আর প্রত্যেক মন্দ বিদআতই গুমরাহীর কারণ (মিরকাতুল মাফাতীহ,১/পৃ.২১৬)। এরূপ মন্দ বিদআতের মধ্যে একটি হলো- হযরত হুসাইন (রা.)-এর শাহাদতের চৌদ্দশত বছর পর শোক প্রকাশ করে তাজিয়া, নিশানা, মার্সিয়া, বাদ্য দ্বারা শোক পালন এবং অন্যান্য সমারোহ ও এসবের মধ্যে মাতম করা, হায় হোসেন! হায় হোসেন! হায় হোসেন! বলে বুক চাপরিয়ে কাঁদা এভাবে দিবস পালন করা। কারণ মৃত্যুর পর তিন দিনের বেশি শোক প্রকাশ করতে রাসূল (সা.) নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন- ‘সে আমার দলভুক্ত নয় যে মৃত্যু শোকে বেহাল হয়ে গাল চাপড়িয়ে, কাপড় ছিঁড়ে ফেলে বিনেকী করে কাঁদে।’ (বুখারি ও মুসলিম) তাছাড়া হযরত হুসাইন (রা.)-এর শাহাদতের পর আব্দল্লাহ্ ইবন্ ওমার (রা.), জাবির বিন আব্দল্লাহ, আনাস বিন মালিক (রা.)সহ বহু সাহাবী জীবিত ছিলেন তাঁরা তো কেউ হযরত হুসাইন (রা.)-এর শাহাদতের পর পরবর্তী বছরগুলোতে শোক প্রকাশ করেনি।
৩. অমুসলিমদের প্রতি মুসলমানদের করণীয়
ব্যক্তিগত পর্যায়ে একজন মুসলিম অন্য অমুসলিমের সাথে কথা বলা, মত বিনিময় করা, তার অবস্থা সম্পর্কে জানা, খোঁজখবর নেয়া অবৈধ নয়। তবে যদি একটি সমাজে বা রাষ্ট্রে মুসলিম ও অমুসলিম উভয় বসবাস করে সেক্ষেত্রে মানুষ হিসেবে মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সকলে সমান অধিকার প্রাপ্ত হবে। সুতরাং প্রাণের নিরাপত্তা বিধানে অমুসলিম নাগরিকদের রক্তের মূল্য মুসলমানদের রক্তের মূল্যের সমান। যিনা-ব্যভিচার, চুরি-ডাকাতি ইত্যাদি সকল ব্যাপারে অভিযুক্ত ব্যক্তির উপর শরয়ী বিধান অনুযায়ী তাদের শাস্তির বিধান কার্যকর করেতে হবে। ব্যবসার ক্ষেত্রে যেসব পন্থা আমাদের জন্য নিষিদ্ধ, তা তাদের জন্যও নিষিদ্ধ। সমাজে বসবাস করতে গিয়ে কোনো মুসলমানকে জিহবা বা হাত পা দিয়ে কষ্ট দেয়া, গালি দেয়া, মারপিট করা বা গীবত করা যেমন অবৈধ, তেমনি এসব কাজ অমুসলিমের বেলায়ও অবৈধ। তবে তাদের পারিবারিক বা ধর্মীয় কর্মকা- তাদের নিজস্ব পারিবারিক ও ধর্মীয় আইন অনুসারে চলতে থাকবে। এক্ষেত্রে তাদেরকে ইসলামী আইন মানতে বাধ্য করা যাবে না। তাদের ধর্ম সম্পর্কে তাদের সাক্ষাতে কুৎসা রটনা করা যাবে না। কেননা পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম এবং তাদের জন্য তাদের ধর্ম।’ খোলাফায়ে রাশেদীন এবং তাদের পরবর্তী সকল যুগে ইসলামী সরকারগুলো এই নীতিই অনুসরণ করেছেন।
তবে অমুসলিমরা যদি মুসলমানদের ক্ষতি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তবে মুসলমানরা সে ষড়যন্ত্রের বিরোধিতা করবে। কেননা যখন রাসূল (সা.) আশুরার রোজা রাখলেন এবং (অন্যদেরকে) রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এটিতো এমন দিন, যাকে ইহুদি ও খ্রিস্টানরা বড় জ্ঞান করে, সম্মান জানায়। তখন রাসূল (সা.) বললেন, “তোমরা আশুরা দিবসে রোজা রাখ এবং বিরোধিতা কর। (আহমাদ)। আর এ বিরোধিতা শুধু রোজার সময় নয় বরং জীবন চলার পথে যখনই তারা ইসলামের গতিকে বাধাগ্রস্ত করবে এরূপ সর্ব ক্ষেত্রে। এ বিষয়ে পবিত্র কুরআনে অনেক আয়াত রয়েছে; তার কয়েকটি হলো- ‘আপনি সব মানুষের চাইতে ইহুদি ও মুশরেকদের মুসলমানদের অধিক শত্রু হিসেবে পাবেন।’ (মায়েদাহ/৮২) ‘হে ঈমানদারগণ! ইহুদি ও খ্রিস্টানদের নিজেদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না।
তারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। আর যদি তোমাদের মধ্য থেকে কেউ তাদেরকে বন্ধু হিসেবে পরিগণিত করে তাহলে সেও তাদের মধ্যেই গণ্য হবে। অবশ্য আল্লাহ জালেমদের নিজের পথনির্দেশনা থেকে বঞ্চিত রাখেন।’ (মায়েদাহ/৫১) ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের অমঙ্গল সাধনে কোন ত্রুটি করে না- তোমরা কষ্টে থাক, তাতেই তাদের আনন্দ। শত্রুতাপ্রসুত বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে বেরোয়। আর যা কিছু তাদের মনে লুকিয়ে রয়েছে, তা আরো অনেকগুণ বেশি জঘন্য। (ইমরান/১১৮-১১৯) ‘যারা সত্য অস্বীকার করেছে তারা পরস্পরের সাহায্য-সহযোগিতা করে। যদি তোমরা (মুসলমনরা) এটা না (সংঘবদ্ধ না হও) করো তাহলে পৃথিবীতে ফিতনা সৃষ্টি হবে ও বড় বিপর্যয় দেখা দেবে।’ (আনফাল/৭৩)। অতএব আসুন, আমরা মুহাররমের প্রকৃত ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতির ইহকালীনÑপরকালীন মুক্তির জন্য কাজ করি। আমিন!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।