বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোরের মণিরামপুর-নওয়াপাড়া সড়কের হোগলাডাঙা থেকে হাজিরহাট পর্যন্ত ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার (পিচের) কাজ শেষ হয়েছে চলতি বছরের মার্চে। একমাস না যেতেই রাস্তার ৫-৬ জায়গায় ধস নেমেছে। কয়েকটি স্থান ধসে মিশেছে পুকুরে। রাস্তা তলিয়ে পরিণত হয়েছে বড়বড় গর্তে। যা এখন পথচারীদের জন্য মরণ ফাঁদ।
রাস্তার দুই-তৃতীয়াংশ দেবে যাওয়া ভালো অংশ দিয়ে ২-৩ চাকার বাহন চলাচল করতে পারলেও বিপাকে পড়ছেন চার চাকার চালক ও যাত্রীরা। ঝুঁকি নিয়ে গর্ত মাড়িয়ে পার হতে হচ্ছে বড় যানবাহন। আবার প্রাণের ভয়ে বাহন থেকে নেমে ভাঙা অংশ পার হতে হচ্ছে যাত্রীদের।
গর্তগুলো সংস্কার না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা। গেলো ৯ মাস রাস্তার এমন বেহাল হলেও তা সংস্কারে উদ্যোগী হননি ঠিকাদার। উদাসীন উপজেলা প্রকৌশলী অফিসও।
এলাকাবাসী বলছেন, মণিরামপুরের ব্যস্ততম সড়কগুলোর মধ্যে অন্যতম মণিরামপুর-নওয়াপাড়া সড়ক। বহুবছর রাস্তাটি অবহেলিত ছিলো। পুরনো পিচ ও খোয়া উঠে চলাচলের একেবারে অনুপযোগী ছিলো সড়কটি।
সর্বশেষ আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির ৩ দশমিক ২ কিলোমিটারের কাজ শুরু হয়। কাজের দায়িত্বপান শাহারুল ইসলাম নামে যশোরের এক ঠিকাদার।
এদিকে রাস্তায় নতুন কাজ হওয়ায় খুশি হয়েছিলেন পথচারীরা। মাস না ঘুরতে সড়কের কয়েক স্থানে দেবে বড় গর্ত হওয়ায় ফের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের।
সড়কটির হোগলাডাঙা থেকে হাজিরহাট বাজার অংশে রাস্তার দু ধারে বেশ কয়েকটি ডোবা রয়েছে। অভিযোগ উঠছে, কনক্রিট দিয়ে ডোবাগুলোর পাড় না বাধাই করে রাস্তার কাজ করা হয়েছে। রাস্তার দুপাশ বাধাতে যেয়ে পাশের মাটি কেটে ফের রাস্তায় ফেলা হয়েছে। সংস্কার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের খোয়া। ফলে সড়ক দেবে গেছে।
এদিকে কাজ শেষের এক মাসের মাথায় রাস্তা ধসে যাওয়ার খবর শুনে তড়িঘড়ি মাটি দিয়ে ভাঙা অংশ ভরাট করা হয়। সেই অংশগুলো এখন ভেঙে বড় হচ্ছে। পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারের লোকজন ইচ্ছে মতো কাজ করেছে। নিম্নমানের খোয়া দিয়ে রাতের বেলায় কাজ করেছে। আমরা বাধা দিছি। ইঞ্জিনিয়ার অফিসে বারবার জানাইছি। তারা অভিযোগ শোনেনি। কাজ চলা অবস্থায় কেউ রাস্তা দেখতেও আসেননি।
হরিদাসকাটি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রণব বিশ্বাস বলেন, সড়কটির হাজিরহাট বাজারের একটু দূরে, পাঁচবাড়িয়া কলেজের সামনে ও পাঁচবাড়িয়া বাজারসহ কয়েক জায়গায় ভেঙে বড় গর্ত হয়েছে। রাস্তার এ অংশগুলো ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হচ্ছে।
তখন ঠিকাদারসহ উপজেলা প্রকৌশলী অফিস দ্রুত সড়ক সংস্কার করে দেয়ার কথা বলেন। পরে আর তারা এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেননি।
রাস্তার কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) নেয়ামত আলী বলেন, রাস্তার পিচের কাজ সবচেয়ে ভালো হয়েছিলো। পুকুরের পাড়ও বাধাই করা হয়েছিলো। সেসব ছবি আমার কাছে তোলা আছে। তারপরও মাটি ধসে গেছে।
তিনি বলেন, ঠিকাদারের জামানতের মেয়াদ এখনো আছে। তাকে দুবার চিঠি করা হয়েছে। জামানত তোলার আগে ধসে যাওয়া স্থানগুলো সংস্কার করা হবে।
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস বলেন, আমি নিজে রাস্তার গর্তগুলো দেখেছি। গাড়ি নিয়ে পারাপারের সময় আমিও নেমে পার হয়েছি। দ্রুত গর্ত সংস্কারে উদ্যোগ নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।