পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট রিপোর্ট : চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার হার কমলেও নিষ্পত্তির হার বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে ৬৬৪ কোটি ৩৪ লাখ মার্কিন ডলারের এলসি খোলা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭১৩ কোটি ৭ লাখ ডলার। সে হিসাবে অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলার হার ১ দশমিক ০৪ শতাংশ কমেছে। তবে এ সময়ে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি বেড়েছে ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, এ সময়ে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি তেল আমদানিতে ঋণপত্র খোলার হার অনেক কমে গেছে। তবে শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি ঋণপত্র খোলার হার বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর এই ছয় মাসে খাদ্যপণ্যের মধ্যে চাল ও গমের আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৬৪ কোটি ৬১ লাখ ডলারের, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮৮ কোটি ৫০ লাখ। সে হিসাবে খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলা কমেছে ২৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ। একই সঙ্গে খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি কমেছে ৮ দশমিক ০৮ শতাংশ। গেল ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তার আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলা ও নিষ্পত্তি বেড়েছিল ৩০ দশমিক ৩২ শতাংশ ও দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ সময়ে পেট্রোলিয়াম তথা জ্বালানি তেল আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে ১১৮ কোটি ডলার, যা গেল অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৩ শতাংশ কম। গেল অর্থবছরের একই সময়ে এই পণ্যটির এলসি খোলা হয়েছিল ২০৭ কোটি ডলারের। এ সময়ে পেট্রোলিয়াম পণ্যের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ১৪৪ কোটি ডলার, যা গেল অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৯ শতাংশ কম। প্রতিবেদনে দেখা যায়, এ সময়ে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র খোলা হয়েছে ২৪০ কোটি ডলার, যা গেল অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ছিল ১৮৬ কোটি ডলার। সে হিসাবে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র খোলা বেড়েছে ২৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আর এ সময়ে ১৬৯ কোটি ডলারের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি নিষ্পত্তি হয়েছে, যা গেল অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৪৭ কোটি ডলার। এ হিসাবে মূলধনী যন্ত্রপাতির নিষ্পত্তি বেড়েছে ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে শিল্পের কাঁচামালের আমদানি ঋণপত্র খোলা ও নিষ্পত্তি বেড়েছে যথাক্রমে ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ ও দশমিক ৫২ শতাংশ। এ সময়ে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৮২৫ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, যা গেল অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭৯১ কোটি ৮২ লাখ। আর এ সময়ে মূলধনী যন্ত্রপাতির এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৭৬৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলার, যা গেল অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭৬২ কোটি ৬০ লাখ। আলোচ্য সময়ে খাদ্যপণ্যসহ সব ধরনের ভোগ্যপণ্য আমদানিও উলেখযোগ্য হারে কমেছে। এ সময়ে ভোগ্যপণ্যের আমদানিতে মোট ২৩২ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ কম। একই সময়ে ২৩৩ কোটি ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ কম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।