বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনা মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সভা থেকে পাঁচ থানা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার রাতে কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে মহানগর বিএনপির আহবায়ক নবঘোষিত কমিটির প্রথম সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর বিএনপির বিলুপ্ত কমিটি, ওয়ার্ড ও থানা কমিটি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের মোট ৫২ জন নেতা বক্তব্যের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রকাশ করেন। ছাত্র ও যুব রাজনীতির মাধ্যমে উঠে আসা নেতৃত্বের সমন্বয়ে খুলনা মহানগর বিএনপির নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করায় বক্তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সরকার বিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনের বিজয়ে এই কমিটিই পারবে রাজপথে অতীতের ন্যায় দূর্বার ভূমিকা পালন করতে।
সভা থেকে অবিলম্বে গণতন্ত্রের সংগ্রামের আপোসহীন নেত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জোর দাবি জানানো হয়। ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী বিএনপি গঠনের পুন:আহবান জানিয়ে এখনও যারা নবঘোষিত কমিটির বিরুদ্ধে নানা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন তাদেরকে ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করার আহবান জানানো হয়। খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব লাভ করায় অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে তার সাফল্য কামনা করা হয়।
সভা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব ও ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য প্রখ্যাত সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমেদের মুত্যৃতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। সেই সাথে লঞ্চ দূর্ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। যুবদল নেতা মাহমুদ হাসান বিপ্লবের মেয়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়।
সাংগঠনিক সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির নবঘোষিত কমিটির আহবায়ক অ্যাড. এস এম শফিকুল আলম মনা। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা। সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমীর এজাজ খান, স ম আব্দুর রহমান, শেখ জাহিদুল ইসলাম, জালাল শরীফ, ফখরুল আলম ও কাজী মো: রাশেদ।
প্রধান বক্তা ছিলেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহির। বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু।
সাংগঠনিক সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন আজিজুল হাসান দুলু, মুর্শিদ কামাল, রোবায়েত হোসেন বাবু, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, শাহিনুল ইসলাম পাখী, আজিজা খানম এলিজা, এহতেশামুল হক শাওন, কে এম হুমায়ুন কবির, শেখ সাদী, কাজী মিজানুর রহমান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, মো: মাসুদ পারভেজ বাবু, শফিকুল ইসলাম হোসেন, শের আলম সান্টু, একরামুল হক হেলাল, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, অ্যাড. তৌহিদুর রহমান চৌধুরী তুষার, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, মুজিবর রহমান, আশফাকুর রহমান কাকন, নাজিরউ্িদ্দন আহমেদ নান্নু, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, মো: ফারুক হিল্টন, আব্দুল আজিজ সুমন, শেখ ইমাম হোসেন, হাফিজুর রহমান মনি, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, মোহাম্মদ আলী বাবু, হাবিব বিশ্বাস, বদরুল আনাম খান, আহসানউল্লাহ বুলবুল, শেখ জামালউদ্দিন, ওয়াহিদুর রহমান দীপু, নিঘাত সীমা, শেখ আনসার আলী, আফসারউদ্দিন মাস্টার, আবুল কালাম জিয়া, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, মতলেবুর রহমান মিতুল, শাহাবুদ্দিন মন্টু, তসলিমউদ্দিন মাস্টার, নাসির খান, কাজী শাহনেওয়াজ নীরু, এইচ এম আসলাম, মশিউর রহমান খোকন, খান মইনুল হাসান মিঠু, কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, খোদবকস কোরাইশী কাল্লু, হুমায়ুন কবির চৌধুরী, কে এম সেলিম, একরামুল কবির মিল্টন, সিরাজুল ইসলাম লিটন, ইব্রাহিম হাওলাদার, মো: আবুল ওয়ারা, তরিকুল ইসলাম তারেক, শাহানাজ সরোয়ার, সজিব তালুকদার, ইশতিয়াক আহমেদ ইস্তি, মো: তাজিম বিশ্বাস প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।