ইবি রিপোর্টার : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সহ-সভাপতি গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার এবং ছাত্রদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা বিজ্ঞান অনুষদের সামনে থেকে নিজেদের এক কর্মীকে ধর ধর বলে দৌড়াতে থাকে। এসময় ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে। ছাত্রলীগের সাদ্দাম হোসেন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান খান সাগরের নেতৃত্বে নিজেদের মধ্যেই নিজেরা এ ধাওয়া দেয় বলে জানা গেছে। ধর ধর করতে করতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়েল কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া এলাকায় পৌঁছায়। এসময় সেখানে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজু গ্রুপের কর্মীরা বসে ছিল। সাগর ও তার কর্মীরা মিজু গ্রুপের কর্মীদের দেখে কুটোক্তি করলে মিজু গ্রুপের কর্মী শাহজালাল ইসলাম সোহাগ, বিপুল হোসেন, অনিক, রিয়ন মিয়াসহ ১০-১২জন কর্মী একত্র হয়ে সাগর ও তার কর্মীদের ধাওয়া করে। পরে সাগর ও তার কর্মীরা পাল্টা ধাওয়া করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সাদ্দাম হোসেন হলের গেট আটকে দিয়ে ভিতরে আবস্থান নেয়। মিজু গ্রুপের কর্মীরা হলে প্রবেশ করতে না পেরে জিয়া হল মোড়ে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসে উভয় গ্রুপের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করে।
ক্যাম্পাসে কাকে ধাওয়া করা হয়েছে এমন প্রশ্ন করলে ছাত্রলীগের সাদ্দাম হোসেন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান খান সাগর কোন সদুত্তোর দিতে পারেননি। তিনি বলেন,‘ আমাদের বিরোধী পক্ষকে পতিহত করার চেষ্টা করেছি।’
এবিষয়ে সহ-সভাপতি গ্রুপের কর্মী শাহজালাল ইসলাম সোহাগ বলেন ,‘আমারা ক্যাফেতে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম এমন সময় তারা আমাদের দিকে ধেয়ে এসে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করলে আমরা তাদেরকে পাল্টা ধাওয়া দেয়।'

এ বিষয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড.মাহবুবর রহমান বলেন, যে বা যারা ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’